• এক লিটার পেট্রোলের দাম ২৯৩.৯৪ টাকা, চাপে পাকিস্তানের মানুষ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ এপ্রিল ২০২৪
  • চাপের মুখে মধ্যবিত্তরা, সরাসরি প্রভাব পকেটে। কারণ, লাফিয়ে বাড়ছে পেট্রোলের দাম। পাকিস্তানে ১৬ দিন পর ফের বেড়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। মঙ্গলবার, পেট্রোলের দাম ৪.৫৩ টাকা থেকে বেড়ে পাকিস্তানি মুদ্রায় ২৯৩.৯৪ হয়েছে, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৮৭.৯১ টাকা। হাই-স্পিড ডিজেল ৮.১৪ টাকা বেড়ে পাকিস্তানি মুদ্রায় ২৯০.৩৮ টাকা হয়েছে।

    কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎই এত দাম কেন বাড়িয়েছে পাকিস্তানি সরকার। সে দেশের সংবাদমাধ্যম জিও টিভির মাধ্যমে সরকার জানিয়েছে, দেশে পেট্রোলের দাম বাড়ার কারণ আন্তর্জাতিক স্তরে এর ব্যাপক দাম বৃদ্ধি। আসলে ইরান ও ইজরায়েলের বিরোধের কারণেই বিশ্বব্যাপী পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বেড়ে চলেছে। এদিকে অনবরত এই দামগুলো বাড়ায় পেট্রোল চালিত ছোট যানবাহনের মালিকের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে হেনস্থা হতে হবে ডিজেল চালিটবট্রেন, ট্রাক, বাসের মতো পরিবহনগুলোকেও। ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহন খরচ বাড়তে পারে, যার প্রভাব পড়বে অন্যান্য পণ্যের দামেও। এর খেসারত মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তকেই বেশিরভাগ ভোগ করতে হবে।

    পাকিস্তানে প্রতি ১৫ দিনে জ্বালানির হার পর্যালোচনা করা হয়। এই সময়ের মধ্যে, বিশ্বব্যাপী তেলের দামের ওঠানামা এবং স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হারের উপর নির্ভর করে দাম বৃদ্ধি বা হ্রাস করে। এর আগে গত ১ এপ্রিল পেট্রোলের দাম বাড়ানো হয়েছিল ৯ টাকা পর্যন্ত। এর পর এপ্রিল মাসে পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ১৩ টাকায়। যদিও এর আগে ১৬ মার্চ, সরকার পেট্রোল এবং ডিজেলের দামে কোনও পরিবর্তন করেনি। মার্চে প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ছিল ২৭৯.৭৫ টাকা এবং এক লিটার ডিজেলের দাম ২৮৫.৫৬ টাকা।

    পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম 'দ্য ডন'-এর মতে, সে দেশের সরকার পেট্রোল ও ডিজেলে প্রতি লিটারে ৬০ টাকা করে কর নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে চুক্তির অধীনে, সরকার চলতি অর্থ বছরে ৮৬৯ বিলিয়ন অর্থ কর হিসাবে আদায় করার লক্ষ্য নিয়েছে। জুলাই-ডিসেম্বর মাসে প্রায় ৪৭৫ বিলিয়ন টাকা জমা হয়েছে এবং আর্থিক বছরের শেষ নাগাদ প্রায় ৯৭০ বিলিয়ন টাকা জমা হবে বলে আশাও করা হচ্ছে। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে ৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা প্রায় দেড় মাসের পণ্য আমদানির সমান। আর দেশে অন্তত ৩ মাসের জন্য পণ্য আমদানির পর্যাপ্ত অর্থ থাকতে হবে। এদিকে ২০২৪ সালে পাকিস্তানের জিডিপি মাত্র ২.১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখেছে অধিকারিকেরা। বর্তমানে এক ডলারের মূল্য ২৭৬ পাকিস্তানি অর্থের সমান।

    প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতিতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি এবং মন্ত্রিসভার মন্ত্রীরা তাঁদের বেতন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১৩ মার্চ, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) তার এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছিল - রাষ্ট্রপতি জারদারি দেশকে সাহায্য করার জন্য তার মেয়াদে কোনও বেতন নেবেন না।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)