• প্রথমবার মোবাইল নেটওয়ার্কের সঙ্গে জুড়ল হিমাচলের প্রত্যন্ত গ্রাম, ফোন মোদীর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ এপ্রিল ২০২৪
  • বর্তমানে মানব সভ্যতার নিত্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলির মধ্যে একটি হল মোবাইল। এর মাধ্যমে কথা বলার জন্য প্রয়োজন হল মোবাইল নেটওয়ার্কের। কিন্তু, দেশে এমনও গ্রাম রয়েছে যেখানে এখনও পর্যন্ত মোবাইল নেটওয়ার্ক পৌঁছয়নি। এতদিন সেরকমই একটি জায়গা ছিল হিমাচলের স্পিতি উপত্যকার গিউ গ্রাম। তার ফলে ফোনে জরুরি প্রয়োজনে বা পরিজনদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে গ্রাম থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে যেতে হত গ্রামবাসীদের। দীর্ঘ সময় পর অবশেষে সেখানে পৌঁছল মোবাইল নেটওয়ার্ক। আর সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু হতেই গ্রামবাসীদের সঙ্গে প্রথম যে ব্যক্তি কথা বললেন তিনি হলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

    বৃহস্পতিবার থেকে এই গ্রামটি মোবাইল নেটওয়ার্কের সঙ্গে জুড়েছে। গ্রামবাসীদের অভিনন্দন জানাতে সেখানকার যুবকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁদের সঙ্গে প্রায় ১৩ মিনিট ধরে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি গ্রামবাসীদের অভিনন্দন জানান। নরেন্দ্র মোদী ফোনে কথা বলার সময় এই অঞ্চলে তাঁর সফরের কথা মনে করিয়ে জানান, তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিকে মোবাইল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। 

    প্রসঙ্গত, বরাবরই কেন্দ্রীয় সরকার ডিজিটাল ভারতের পক্ষে প্রচার চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ফোনে জানান, ডিজিটাল ভারতের অভিযানকে আরও দ্রুত গতিতে চালানো হবে। তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো এই গ্রামে মোবাইল নেটওয়ার্ক পৌঁছেছে। এই প্রত্যন্ত গ্রামের ভৌগোলিক অবস্থা এতটাই কঠিন যে মোবাইল নেটওয়ার্কের জন্য বড় সমস্যার মুখোমুখি হতে হত গ্রামবাসীদের। কিন্তু, আমি যখন জানতে পারলাম তখন আমি নিজেই অবাক হয়েছিলাম। তারপরে দেশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে মোবাইল নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাই।’

    প্রধানমন্ত্রী গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার সময় জানান, সরকার এখন সমস্ত জায়গাকে প্রযুক্তির সঙ্গে সংযুক্ত করতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর উপরে জোর দিচ্ছে। তিনি জানান, তাঁর সরকার যখন প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিল তখন বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল ১৮ হাজারের বেশি গ্রামে। 

    কথোপকথনে গ্রামের এক যুবক জানান, গ্রামে কোনও নেটওয়ার্ক না থাকায় তাঁদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে গ্রাম থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে যেতে হত। কিন্তু, তাঁদের গ্রাম যে মোবাইল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে তা তাঁরা যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না। তবে দীর্ঘদিনের তাঁদের এই সমস্যার সমাধান হওয়ায় স্ববনিকভাবেই আনন্দের সীমা ছিল না।

    পূর্বের কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা করে নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, ‘আগের সরকার সীমান্তের গ্রামগুলিকে শেষ গ্রাম হিসেবে বিবেচনা করত। কিন্তু, বর্তমান সরকার সীমান্তের গ্রামগুলিকে প্রথম গ্রাম হিসেবে বিবেচনা করে। এই কারণেই আমরা সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির উন্নয়নে জোর দিচ্ছি।’ কথোপকথনে প্রধানমন্ত্রী ভোট প্রচারও সারেন। 

    তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের অগ্রাধিকার হল জীবনযাত্রা সহজ করা। আর তৃতীয় মেয়াদে আমাদের সরকার জীবন যাত্রার গুণগতমানের উপর জোর দেবে। দরিদ্র মানুষ, সমাজের শেষ শ্রেণিতে থাকা মানুষ, মধ্যবিত্ত এর থেকে ব্যাপক সুবিধা পাবে। তাদের জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।’

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)