পুলিস হাত তুলতেই চেকিংয়ের ভয়ে দাঁড়ালেন বাইক চালক, কাছে যেতে মিলল ঠান্ডা লস্যি!
বর্তমান | ০১ মে ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: প্রখর রোদ। সঙ্গে আগুনের মতো তাপপ্রবাহ। রোদের মধ্যে ভিআইপি রোডে প্রচুর পুলিস। কী হয়েছে, দূর থেকে বুঝে উঠতে পারছিলেন না এক বাইক চালক। গতি কমিয়ে ধীরে এগচ্ছিলেন উল্টোডাঙার দিকে। লেকটাউনের ঘড়ি মোড়ে আসতেই আচমকা হাত তুলে থামালেন এক পুলিস আধিকারিক। তখন আর পালাবার পথ নেই। এই রোদের মধ্যেও দিনের বেলায় চেকিং? চালক কিছুটা ভয় পেয়েই দাঁড়িয়ে পড়লেন বাইক নিয়ে। পুলিসের দিকে তাকালেন। কিন্তু ওই অফিসার না চাইলেন ড্রাইভিং লাইসেন্স, না চাইলেন ব্লু-বুক।
আর একটু কাছে যেতেই পুলিস অফিসার মুখের সামনে বাড়িয়ে দিলেন হাত। তাঁর মুঠোয় ধরা ঠান্ডা লস্যি ভর্তি গ্লাস। ‘খেয়ে নিন, এটা আপনার জন্য’। প্রথমে হকচকিয়ে গেলেও বাইক চালক পরে বুঝলেন, চেকিং নয়। গ্লাস নিলেন। তারপর স্বস্তির চুমুক। দই, চিনি, গোলাপজল, বিট নুন একেবারে ঠিকঠাক পরিমাণে রয়েছে। খালি গ্লাস বাড়িয়ে সেই বাইক আরোহীর আবদার—‘স্যার, আর এক গ্লাস হবে?’
মঙ্গলবার লেকটাউন ট্রাফিক পুলিসের পক্ষ থেকে জলসত্র’র আয়োজন করা হয়েছিল। জলের সঙ্গে পথচলতি মানুষকে খাওয়ানো হচ্ছিল ঠান্ডা লস্যি এবং লেবুর সরবত। সিগন্যালে দাঁড়ানো বাসের চালক, কন্ডাক্টর সহ যাত্রীদের হাতেও দেওয়া হয় লস্যি-সরবত। তবে লেকটাউনে প্রায় রাতের বেলা নাকা চেকিং হয়, তাই অনেক বাইক চালক ভেবেছিলেন, চেকিংয়ের জন্যই হাত তুলছে পুলিস। তবে কাছে যেতে সবারই ভুল ভেঙেছে। পুলিসের এমন মানবিক ভূমিকা দেখে খুশি সকলেই। সেই সঙ্গে ট্রাফিক পুলিসদের কুর্নিশ করেছে সকলে। কারণ এই গরমে যখন রাস্তাঘাট ফাঁকা, তখন রোদে দাঁড়িয়ে ডিউটি করছেন তাঁরা।
তাপপ্রবাহের কারণে পথচলতি মানুষের জন্য ইএম বাইপাসের একটি হাসপাতালের সামনেও সাতদিন ধরে জলসত্রের ব্যবস্থা করেছেন বিধাননগর পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার আলো দত্ত। সেখানে জল, লেবু বা আমপোড়ার সরবত দেওয়া হয়েছে বহু মানুষকে। -নিজস্ব চিত্র