• প্রশিক্ষণ শিবিরে গরহাজির, ১৫০০ জন ভোটকর্মীকে শোকজের নোটিস
    বর্তমান | ০১ মে ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: ভোটকর্মীদের প্রথম দফার প্রশিক্ষণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, ওই প্রশিক্ষণে যাঁদের ডাকা হয়েছিল, তাঁদের সকলে হাজির হননি। এই সংখ্যা দেড় হাজারের কিছু বেশি। জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় শো’কজের মুখে পড়তে চলেছেন এই ১,৫০০ জন ভোটকর্মী। ১০ দিনের মধ্যে সন্তোষজনক উত্তর না পেলে নির্বাচন কমিশন তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

    উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় মোট পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে।  জেলায় মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৮,৬৪৭টি। তারমধ্যে ১,২৩৩টি মহিলা পরিচালিত। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো প্রতিটি কেন্দ্রে নিয়োগ করা হবে চারজন করে ভোটকর্মী। তাই রিজার্ভ ধরে ৩৬ হাজার ভোটকর্মী জোগাড় করা হয়েছে। ওই কর্মীদের প্রথম দফার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তবে হাজার দেড়েক কর্মী এই প্রশিক্ষণে আসেননি। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সরকারি নিয়ম মেনে ভোটকর্মীদের আগেই মেসেজ দিয়ে প্রশিক্ষণের স্থান ও সময় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    সূত্রের খবর, এই জেলার পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ভোটকর্মী হিসেবে কাজের অনীহা সব থেকে বেশি বসিরহাটে। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ভোটকর্মীদের উৎসাহিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও কেন এত অনীহা, তা জানার চেষ্টা চলছে। তবে, অন্যান্য জেলায় ভোটকর্মীদের গরহাজিরার সংখ্যা এই জেলার তুলনায় অনেক বেশি। এ বিষয়ে জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী বলেন, ভোটকর্মীদের প্রথম পর্বের প্রশিক্ষণ সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে। বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষণ শিবিরে অনুপস্থিত ছিলেন। তাঁদের নামের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তাঁদের কাছে শো’কজ করা হবে। অভিযুক্তরা সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারলে বিষয়টি কমিশনকে জানানো হবে। কমিশন যা নির্দেশ দেবে, সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তুলনামূলকভাবে ভোটকর্মীদের উপস্থিতি এই জেলায় বেশি বলেই মনে হয়। আমাদের লক্ষ্য সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন। সেই মতো প্রস্তুতি চলছে।
  • Link to this news (বর্তমান)