• কোভিশিল্ড টিকায় 'বিরল' পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, 'সমবেদনা' জানাল অ্যাস্ট্রাজেনেকা
    Aajtak | ০১ মে ২০২৪
  • করোনাভাইরাসকে রুখতে ভরসা ছিল ভ্যাকসিনের উপর। সেই ভ্যাকসিনই কিনা বিপজ্জনক! অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। একথা স্বীকার করে নিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। আর তারপর থেকেই এই টিকা ঘিরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। এবার এই নিয়ে মুখ খুলল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। 

    কী বলল অ্যাস্ট্রাজেনেকা? 

    সংবাদ সংস্থা এএনআইকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার মুখপাত্র বলেছেন, 'যাঁরা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন এবং যাঁদের শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাঁদের জন্য আমাদের সমবেদনা। রোগীদের সুরক্ষা আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়। ভ্যাকসিন-সহ বিভিন্ন ওষুধ যাতে নিরাপদে সকলে ব্যবহার করতে পারেন, সেটা সুনিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য।'

    প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ হাইকোর্টে অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করেছে যে, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনে শরীরে 'বিরল' পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটে। রক্ত জমাট বাঁধার মতো শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে এই ভ্যাকসিন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। কারণ, বহু মানুষ এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করেছেন। 

    অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে ব্রিটেনে এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের জেরে তাঁর থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম হয়েছে। তার জরে ব্রেন ড্যামেজের শিকার হন তিনি। এছাড়াও একাধিক ব্যক্তি আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁদের অভিযোগ, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর থেকেই তাঁদের নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শুরু হয়।

    এই মামলায় আদালতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা যে নথি পেশ করেছে, তাতে জানানো হয়েছে, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ ভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই ভ্যাকসিনের জেরে থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম হতে পারে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার দাবি, এই ভ্যাকসিন না নিলেও কোনও ব্যক্তি থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিন্ড্রোমের শিকার হতে পারেন। তাই শুধুমাত্র ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিন্ড্রোম শুরু হচ্ছে, এটা বলাও ঠিক নয়। সংস্থার তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, একাধিক স্বাধীন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করোনা রুখতে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন ভীষণ কার্যকর। তাই কোনও রায় দেওয়ার আগে এই স্টাডিগুলিও একবার দেখা উচিত।সংস্থার দাবি, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই বিরল। রোগীর সুরক্ষা আমাদের প্রাথমিক ও সর্বোপরি দায়িত্ব। অ্যাস্ট্রাজেনেকার দাবি, তাদের ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর দুনিয়াজুড়ে মান্যতা পেয়েছে। তাদের টিকাকরণ কর্মসূচিতে লাভবান হয়েছেন বিশ্বের বহু মানুষ। বহু মানুষ এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন, ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি কমতে পারে।

    ধীরে ধীরে কমেছে করোনার দাপট। করোনাকে হারিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে সব দেশ। এই আবহে করোনার এই টিকা ঘিরে নয়া উদ্বেগ তৈরি হল। 
     
  • Link to this news (Aajtak)