• ভোটপর্ব মিটলেই শুরু হবে ব্রাহ্ম মন্দির, গায়ত্রী দেবী পার্ক সংস্কার
    বর্তমান | ০১ মে ২০২৪
  • সংবাদদাতা, দেওয়ানহাট: লোকসভা ভোটের জন্য দেশজুড়ে আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি চলছে। এই বিধি উঠে গেলেই কোচবিহার শহরের ব্রাহ্ম মন্দির পার্ক ও গায়ত্রী দেবী উদ্যান সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন করার কাজ শুরু করবে কোচবিহার পুরসভা। ওই কাজের জন্য লোকসভা ভোটের আগে ৮০ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। ভোটপর্ব মিটে গেলেই টেন্ডার ডেকে পার্ক দু’টি সংস্কারের কাজে হাত দেবে পুরসভা। 

    কোচবিহার শহরের সুনীতি রোডের ধারে থাকা রাজ আমলের ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্ম মন্দির পার্কটি সঠিক দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বহুদিন ধরেই বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পার্ক চত্বরের চারপাশ জঙ্গলে ঢেকে গিয়েছে। আগে পার্কে রাতে আলোর ব্যবস্থা থাকলেও কয়েক বছর ধরে সেগুলিও বিকল হয়ে থাকায় সন্ধ্যা হতেই অন্ধকারে ডুবে যায় গোটা পার্ক। পার্কে থাকা রাজআমলে গড়ে ওঠা ব্রাহ্ম মন্দিরটিও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল এখন।  পাশাপাশি ওই পার্ক চত্বরে পুরসভা পরিচালিত ছোটদের একটি স্কুল রয়েছে। শিশুদের বিনোদনের জন্য পার্কটিতে দোলনা সহ কিছু খেলার উপকরণ থাকলেও ওসব সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট  হতে বসেছে। 

    এছাড়াও সাগরদিঘির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে আর একটি পার্ক, যার নাম গায়ত্রী দেবী উদ্যান। এটিতে একটি মুক্তমঞ্চ ও কয়েকটি দোলনা থাকলেও অন্য ক্রীড়া সরঞ্জাম তেমন নেই। তবুও প্রতিদিন বিকেলে ওই পার্কে শিশুদের নিয়ে আসেন অভিভাবকরা। উদ্যানটিতে থাকা মুক্তমঞ্চটি ভাড়া নিয়ে আগে মাঝেমধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো। কিন্তু চারপাশ আগাছায় ভরে যাওয়ায় ওই পার্কে সেভাবে আর কেউ অনুষ্ঠান করার জন্য আগ্রহ দেখান না। শিশুদেরও আসা-যাওয়া আগের মতো নেই। দীর্ঘদিন ধরেই রাজার শহরের এই দুই পার্ক সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের করার দাবি শহরবাসীর। কোচবিহার পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পার্ক দু’টির আমূল সংস্কার করে সেখানে শিশুদের খেলার বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম বসানো হবে। মনীষীদের মূর্তিও বসবে। এছাড়াও বসার জায়গা নতুন করে বানানো হবে, লাইট লাগানো হবে। পাশাপশি ব্রাহ্ম মন্দিরটি সংস্কার করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

    কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ভোটপর্ব  মিটলেই ওই পার্ক দু’টির সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কাজ আমরা শুরু করব। নির্বাচন ঘোষণার  আগেই এরজন্য ৮০ লক্ষ টাকা রাজ্য থেকে অনুমোদন পেয়েছি। পার্ক দু’টিতে বিভিন্ন ধরনের মরশুমি ফুলের গাছ লাগানোর পাশাপাশি শিশুদের খেলনার সরঞ্জাম নিয়ে আসব। আমরা ঠিক করেছি কয়েকজন মনীষীর মূর্তি ধাপে ধাপে পার্কে বসানোর। পার্কে শিশুদের নিয়ে আসা অভিভাবকদের বসার জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা করা হবে। সেসঙ্গে পর্যাপ্ত লাইট লাগিয়ে আলোর ব্যবস্থাও করাব আমরা। পার্কের ভিতরে যাতায়াতের জন্য নতুন রাস্তা বানানো, ভাঙা রাস্তায় পেভার ব্লক বসানো হবে। পার্কের চারপাশের সীমানা প্রাচীরও সংস্কার করা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)