• পাকার আগেই ঝরে যাচ্ছে এই বিশেষ প্রজাতির আম, কীসের সঙ্কেত?
    Aajtak | ০১ মে ২০২৪
  •  

    গুজরাতের জুনাগড়ের কেশর আম সারা বিশ্বে বিখ্যাত হলেও এ বছর বিশ্ব উষ্ণতা ও তীব্র গরমের প্রভাবে আম বড় হওয়ার আগেই ঝরে পড়ছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে এবার কেশর আমের উৎপাদন কম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। জুনাগড়, তালালা, উনা, কোডিনারসহ সব এলাকায় আমের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমের বাগানে নতুন পাতা দেখা দিয়েছে এবং আমের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলো পাতায় চলে যাচ্ছে, ফলে আম ঝরে পড়তে শুরু করেছে। তাই আম বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে আমের ফসল বিবর্ণ হয়ে গেছে এ বিষয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর জিআর গোহিল বলেন, আবহাওয়ার ক্রমাগত পরিবর্তনের কারণে এ বছর আমের গঠনে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে, যার কারণে প্রতি বছরের মতো এবারও আমের বীজ দেখা যাচ্ছে না। সেখানে যে আমগুলো এসেছিল সেগুলোও শুকিয়ে পড়ে গেছে। এমনকি কেশর আমের হাব হিসেবে পরিচিত সোরাঠেও গত বছরের তুলনায় আমের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে এবং এর কারণ হলো সদ্য গজানো পাতায় পুষ্টির অভাব।

    বর্তমানে সোরথ পন্থের আম বাজারে পৌঁছতে আরও এক মাস সময় লাগতে পারে। গত বছরের তুলনায় এ বছর আমের ফলন ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কম হওয়ায় এ বছর আমবাউড়িতে মুকুল আসতে ৪০ থেকে ৫০ দিন দেরি হয়েছে। ফল বসানোর প্রক্রিয়ায় ফসল কাঙ্খিত তাপমাত্রা পায় না এবং তাপমাত্রার পার্থক্য বেশি হয়ে যায়, যার কারণে আকারে ছোট হওয়া সত্ত্বেও আম ঝরে পড়তে থাকে। গত বছরও আম এসেছে ১৫ এপ্রিলের দিকে, কিন্তু এ বছর আসবে এক মাস পর অর্থাৎ ১৫ মে। তবে এ বছর আমের দাম অনেক বেশি হওয়ায় উৎপাদন কমে গেছে। একই সঙ্গে মৌসুম অনুযায়ী আম না পাকার কারণে এ বছর আমের মিষ্টতাও কমবে। অসময়ে বৃষ্টিতে কেশর আমের ফসল নষ্ট হয়েছে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে দেশের কোথাও কোথাও  বৃষ্টিও হতে দেখা যাচ্ছে। গুজরাতের কচ্ছে  বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসের কারণে জাফরান আমের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে, যার কারণে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কচ্ছের আনজার তহসিলে প্রবল বাতাসের কারণে কেশর আম পড়ে গেছে, ফলে কৃষকদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ বছর চাষিরা ৫০-৬০ শতাংশ আমের ফলন আশা করলেও এ বছর অসময়ে বৃষ্টির কারণে ২০ শতাংশ আমের ফলন নষ্ট হয়েছে। এ বছরও লাখ লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হবে কচ্ছের কৃষকদের। কৃষকরা সরকারের কাছে সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন।
  • Link to this news (Aajtak)