• খড়গ্রামে কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষে চলল গুলি, গ্রেপ্তার ২
    আজকাল | ০২ মে ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার ইন্দ্রানী গ্রামপঞ্চায়েতের দিয়ার-মল্লিকপুর এলাকা। এলাকার দখল নিয়ে দুই রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে চারজন। অভিযোগ সংঘর্ষের সময় এলাকায় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চলেছে। তবে গুলি লেগে কেউ হতাহত হননি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রচার এবং এলাকার দখলকে কেন্দ্র করে গত বেশ কয়েকদিন ধরে তৃণমূল স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি তথা ইন্দ্রানী গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য আলতামাস কবীরের সঙ্গে খড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস সদস্যা জিতা খাতুন ও তাঁর অনুগামীদের বিবাদ চলছিল। বুধবার দুপুরে গ্রামের একটি রাস্তাকে কেন্দ্র করে দুই রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের মধ্যে ফের একবার বিবাদ শুরু হয়। অভিযোগ সেই সময় দুই দলের সমর্থকরা একে অপরের উপর লাঠি বাঁশ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। অভিযোগ সংঘর্ষের সময় কমপক্ষে ৩ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। খড়গ্রাম ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আবুল কাশেম বলেন,"গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যে সমস্ত কংগ্রেস কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন লোকসভা নির্বাচনের আগে তারা আবার কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। মঙ্গলবার জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মুর্তজা হোসেন বকুলের সমর্থনে ওই গ্রামে একটি বড় জনসভা হয়। সেখানে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আলতামাস কবীরের বহু অনুগামী অংশগ্রহণ করেছিল। সেই রাগ থেকে হঠাৎই আজ সকালে আলতামাসের গুন্ডাবাহিনী কংগ্রেস সমর্থকদের উপর হামলা চালাতে শুরু করে।" আলতামাস কবীর নিজে দেশি আগ্নেয়াস্ত্র হাতে কংগ্রেস কর্মীদেরকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ তাঁর। যদিও সংঘর্ষ ও গুলি চালানোর ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানা নেই বলে জানিয়েছেন খড়গ্রামের তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য শামসের আলী মোমিন। গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনার খবর পাওয়ার পরই খড়গ্রাম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকাতে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খড়গ্রাম থানার এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আলতামাস কবীরসহ মোট ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।
  • Link to this news (আজকাল)