• Abhishek Banerjee: 'অমিত শাহ নিজে দাঁড়িয়ে আমাকে ডায়মন্ড হারবার থেকে হারাক', চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
    ২৪ ঘন্টা | ০২ মে ২০২৪
  • রণজয় সিংহ: তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর আমরা কখনও মালদা লোকসভার দুটি আসনের একটিও পাইনি। ২০২১ সালের বিধানসভার ফল যাতে পুনরাবৃত্তি হয় এবং ব্যবধান বাড়ে সেই বার্তাই দেন অভিষেক। এমনকী বুধবার মালদহ উত্তরের সভায় দাঁড়িয়ে শাহকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনটি সুযোগের কথা জানিয়ে অভিষেক এদিন বলেন, '১ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা আটকে রেখেছেন ছেড়ে দেন। আবাস যোজনার টাকা ১০ পয়সা দিয়েছেন,দেখান। আমি ডায়মন্ড লোকসভা হয়ে লড়াই করছি, পারলে ওখান থেকে দাঁড়িয়ে আমাকে হারান।'

    এই তিনটি চ্যালেঞ্জের যে কোনও একটা পূরণ করলেই আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। এদিন এমনটাই বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শাহের উদ্দেশে তাঁর আরও বক্তব্য, আমার কোনও পদের প্রয়োজন নেই। জাত, ধর্মে বিশ্বাসী নই। রাজনীতিতে আপনারা রাজে বিশ্বাস করেন, আমি নীতিতে বিশ্বাস করি।এ ছাড়াও তিনি বলেন, খগেন মুর্মু আগে ছিল সিপিএমে ছিলেন, এখন জামা খুলে বিজেপিতে এসেছেন। তিনি পাঁচ বছরে কি কাজ করেছেন। তিনি কি কাজ করেছেন যদি প্রমাণ করতে পারে আমি আর কোন দিন তৃণমূলের হয়ে ভোট চাইতে আসবো না।২০২১ বিধানসভায় আপনারা আমাদের ৮টা আসনে জিতেছেন। কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বাংলায় ইন্ডিয়া জোট হতে দেয়নি। তিনি বিজেপির বড় দালাল। তৃণমূলকে ভোট দেওয়া থেকে অনেক ভালো বিজেপিকে ভোট দেওয়া, অধীর রঞ্জন চৌধুরী ভাষণ রেকর্ড মঞ্চ থেকে তুলে ধরেন অভিষেক। বিজেপির হাত শক্ত করা ছাড়া কংগ্রেসের আর কোন কাজ নেই।লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বেশি দিন চলবে না,তিন মাসের মধ্যে বন্ধ হবে। কোচবিহারের এক বিজেপি নেত্রী ১৫ দিন আগে এই কথা বলেন, তার রেকর্ডও তুলে ধরেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।  ১০০ দিনের কাজের টাকা আদায়ে আমরা দিল্লির বুকে আন্দোলন করেছি, সেখান থেকে আমাদের টেনে বের করে দিয়েছে, একদিনও অধীর রঞ্জন চৌধুরী কিংবা মহম্মদ সেলিমরা আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা কাজ বিজেপির। আমার বিরুদ্ধে কিভাবে এজেন্সি লাগিয়ে রেখে দিয়েছে বিজেপি। বিজেপির বি টিম হয়ে বাংলায় কাজ করছে কংগ্রেস এবং সিপিএম‌। আমার বাবা মাকেও ছাড়েনি তাও আমি আত্মসমর্পণ করেনি,মত দিন রক্ত আছে লড়াই করবো আমি। এবার আপনারা মালদায় ২-০ করবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবর্তন শুধু সময়ের অপেক্ষা‌।পেট্রোল ছিল ৫০ টাকা লিটার, আজ ১০০ টাকা লিটার, চা পাতা ছিল ১১০ টাকা কিলো, আজ ২৮০ টাকা কিলো, আপনি ভাবতে পারছেন দেশ কোথায় গেছে। এবার যদি বিজেপি ক্ষমতায় আছে তাহলে আর ভোট হতে দিবে না বিজেপি। যারা মাছ খাই তারা দেশ বিদ্রোহী,আমরা কি খাবো ঠিক করবে বিজেপি। যোগী আদিত্যনাথ বাংলায় আশার আগে একটু পড়াশোনা করে আসবেন বলেন আভিষেক। মালদায় ভোট কাটাকাটি হলে বিজেপির লাভ। গত ৩ বছরে আইন ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)