• Kunal Ghosh: যারা দলের সত্যিকারের কর্মী তাঁদের কি অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে? বিস্ফোরক অপসারিত কুণাল
    ২৪ ঘন্টা | ০২ মে ২০২৪
  • দেবারতি ঘোষ: দলের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রশ্নে এবার মুখ খুললেন কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজেই পদ ছাড়তে চেয়ে দল কে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিজেই যে পদ ছেড়েছি, তাতে আমাকে সরিয়ে কি আনন্দ হলো জানি না। তা সত্ত্বেও আমি সব দায়িত্ব পালন করেছি।‘ডেরেক ও’ব্রায়েন কে প্রচ্ছন্ন আক্রমণ করে তিনি জানিয়েছে, ‘কোনও কুইজ মাস্টার যদি আমাকে রিমুভ করা হয়েছে এই লিখে আনন্দ পান তাকে আমি প্রশ্ন করতে চাই আপনি কী জানেন যে আমি কবে চিঠি দিয়েছিলাম পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য। তারপরেও কুইজমাস্টার কিভাবে এরকম লেখেন তা আমি বলতে পারব না।‘

    চিঠি প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘যখন আমি খবর পেলাম যে, এরকম একটা চিঠি টাইপ হচ্ছে তখন আমার ঘুম পাচ্ছিল আমি ঘুমিয়ে পড়লাম’।তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি এখনও কোনও অফিসিয়াল কমিউনিকেশন পাইনি। কিন্তু আমার দরকারও নেই। আমি নিজে যে পদ ছাড়তে চাই তার জন্য কোনও কিছু দরকার নেই। যারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা মহান ব্যাক্তি, মহানুভ। ঈশ্বর তাদের মঙ্গল করুন। আমি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সাধারণ কর্মী, সাধারণ সৈনিক। আমি তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক হয়েই থেকে যাবার চেষ্টা করব’।বুধবার সকালে তাপস রায়ের সঙ্গে এক মঞ্চে থাকা প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ‘ওটা একেবারেই একটা পাড়ার অনুষ্ঠান ছিল। আমি দু’পক্ষকেই সাবধান করেছি ভোটের সময় কোন গোলমালে না জড়ান। এর মধ্যে আমি কী দোষ করেছি তা কিছুই বুঝতে পারলাম না। দেব যখন মিঠুন চক্রবর্তীকে বাবার মতো বলেন তখন কুইজ মাস্টার জেগে ওঠেন না বা তার পেছনের পরিচালকরা জেগে ওঠেন না। আজ আমাকে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে, আমার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে তা হয় নাকি কখনও’।তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই যেখানে ট্যুইটার হ্যান্ডেলে মুখপাত্র, সাধারণ সম্পাদক ব্যবহার করছিলাম না তারপরে কে কী প্রেস রিলিজ দিল সে আর আমি কী করবো বলুন’।তিনি বলেন, ‘আমি গতকালও খড়্গপুরে মিটিং করে এসেছি, আজ থেকে আমি কৃতজ্ঞ সারা বাংলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের কাছে আমার হোয়াটসঅ্যাপ উপচে গিয়েছে। ব্রাত্য বসু সাক্ষী রয়েছেন আমি তাঁর সঙ্গে দৌড়ে গিয়ে বুঝিয়েছিলাম যে তাপস দা কে দল না ছাড়তে অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু একদিন রক্তদান শিবিরে দেখা হয়েছে বলে সেগুলো সব মিথ্যে হয়ে গিয়েছে।‘তিনি বলেন, ‘অদ্ভুত ব্যাপার ২০১৩ সালেও নাকি শুনেছিলাম আমাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে কিন্তু সে চিঠি আমার হাতে আজও আসেনি। আজও দেখলাম একটা চিঠি চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে যা আমার কাছে এসে পৌঁছয়নি। তো সেটা তো এভাবেও বলতে পারতো যে কোন যেগুলো তুমি ছাড়তে চেয়েছিল তা থেকে তোমাকে অব্যাহত দিচ্ছি। ওই চিঠির নিচে আমি একজনের সই দেখেছি তাকেই বলছি। আমি কোন দল বিরোধী কাজ করিনি। ঈশ্বর সাক্ষী আমার বাবা মার দিব্যি। আমি আমার শোকেসের চিঠি আমি কোনও মিডিয়াকে দিনি।‘তিনি আরও বলেন, ‘তাপস রায় তাঁর বক্তব্য বলেছেন তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে যা মনে হয়েছে বলেছে। আমি বেসিক্যালি ৪২ এ ৪২টাই যাতে আমরা জিতি আমি তার জন্য গলা ফাটিয়ে প্রচার করেছি। যাকে আমি শতবার রিকোয়েস্ট করেছি দল না ছাড়তে তার সঙ্গে যদি দেখা হয়ে যায় একটা অরাজনৈতিক মঞ্চে। আমি ওই মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছি আমাদের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।‘কুণাল ঘোষ বলেন, ‘১৯৯৩ সালের ২১শ জুলাই আমার গাড়িতে করে মমতা ব্যানার্জিকে তুলে নিয়ে ঝুঁকি নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। তারপরে যখন একের পর এক নেতা দল ছেড়ে চলে গেছে যারা মাটি কামড়ে লড়াই করেছে বিজেপির দিকে তাকিয়ে আক্রমণ করেছে তার মধ্যে কুণাল ঘোষ একজন। আমি ধারাবাহিকভাবে বিজেপির মঞ্চে উঠে বক্তৃতা করতে দাঁড়ালে তারা হাততালি দেয় একটাই কারণে। জানে তারা আক্রমণ করবে বিরোধীদের। এখন যদি মনে হয় যে এই প্রেস্টিজটা আমার প্রাপ্য তাহলে তাই হবে’।তিনি জানিয়েছেন, ‘এটা যদি সিদ্ধান্ত হয় যে ভবন থেকে যা বলা হবে সেটাই দলের বক্তব্য তাহলে ২৪x৭ একটা টিম রাখা। যেভাবে আমি সার্ভিস দিয়েছি দলকে সেটা এই চিঠিতে কথাগুলো লেখার আগে একবার মনে হলো না।‘কুণাল ঘোষ আরও বলেন, ‘শুভেন্দুর সঙ্গে আমার কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই কিন্তু সে আমার নেত্রীকে অপমান করে বলে নেতাকে অপমান করে বলে আমি সেই আক্রমণের জবাব দেই’।অন্যদিকে কুনাল ঘোষ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করাতে হাতজোড় করে প্রণাম করলেন শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ‘ওটা নিয়ে পিসি ভাইপোকেই জিজ্ঞাসা করুন’।   
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)