• ?যাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঈশ্বর তাঁদের ভালো রাখুন?, ?অপসারণ? প্রসঙ্গে মন্তব্য কুণালের
    প্রতিদিন | ০২ মে ২০২৪
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঈশ্বর তাঁদের ভালো রাখুন।? তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অপসারণ প্রসঙ্গে মন্তব্য কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)। রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ হাবেভাবে বুঝিয়ে দিলেন, দলের এই সিদ্ধান্তে তাঁর বিশেষ যায় আসে না। একই সঙ্গে কুণাল স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি তৃণমূলেরই সৈনিক।

    বুধবারই আমহার্স্ট স্ট্রিটে এক রক্তদান অনুষ্ঠানে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন কুণাল। তিনি বলেন, প্রার্থী বা জনপ্রতিনিধি হিসাবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sudip Banerjee) থেকে পিছিয়ে নেই তাপস। তাঁর দরজা সারা দিন সারা রাত দলের কর্মী এবং সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকে। সেই মন্তব্য করার কয়েক ঘণ্টা পরই তৃণমূলের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলে দেওয়া হল, কুণালকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরানো হয়েছে। তাঁর মন্তব্য দলের অবস্থান নয়।

    মুখপাত্র পদ থেকে তাঁকে আগেই সরানো হয়েছিল। এবার তাঁকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকেও সরানো হল। যা নিয়ে কুণালের বক্তব্য, ?দলের তরফে খবর পেয়েছিলাম এরকম একটা প্রেস বিজ্ঞপ্তি টাইপ করা হচ্ছে। তখনই ফোন বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এবার ময়দানে যাচ্ছি একটু হাওয়া খেতে।? কুণাল সাফ বলছেন, ?দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলতে চাই না। যারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা অনেক সিনিয়র নেতৃত্ব। ঈশ্বর তাঁদের ভালো রাখুন।? এর পরই কুণালের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ?আমি তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) একজন সাধারণ কর্মী। সেভাবেই থেকে যাওয়ার চেষ্টা করব।? রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের তৃণমূল কর্মীরা যে তাঁর পাশে আছে, সেটাও এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন কুণাল। 

    এদিকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে কুণালকে সরানো নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপি (BJP) নেতারাও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ?এটা রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতার পরিচয়। ওটা একটা সামাজিক অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে যে কেউ যেতেই পারেন।? আবার উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় বলছেন, “কুণাল ঠিক কথাই বলেছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বোধ হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করেছে। তাই কুণালকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও অভিযোগ করলে সেটা শোনা হয়। সুদীপের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ শোনা হয় না। অথচ উত্তর কলকাতায় খুঁজলে বহু সুদীপ বিরোধী পাওয়া যাবে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)