• দাম বৃদ্ধির কারণে পুরনো সোনা ভাঙানোর প্রবণতা বাড়ছে
    বর্তমান | ০২ মে ২০২৪
  • বাপ্পাদিত্য রায়চৌধুরী, কলকাতা: সোনার দাম আকাশছোঁয়া। বাজারের অস্থিরতার জেরে হলুদ ধাতুর দাম এখন সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। এদিকে বিয়ের মরশুম চলছে। এই পরিস্থিতিতে হাতে থাকা বা জমানো সোনা ভেঙে নতুন করে গয়না বা অন্য কিছু তৈরি করার চল বাড়ছে। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে পুরনো সোনাকে নতুন কাজে ব্যবহারের চল বেড়েছে ৬০ শতাংশের বেশি।

    কাউন্সিলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিন মাসে দেশে ৩৭.৬ টন সোনা গলিয়ে নতুন কিছু করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তার বেশিরভাগটাই যে গয়না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এক বছর আগে এই সময়ে দেশে পুরনো সোনা গলানো হয়েছিল ২৩.৩ টন। অর্থাৎ এবার সেই হার ৬১ শতাংশ বেশি। 

     স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা স্বীকার করছেন, নতুন সোনায়  তৈরি গয়নার বাজার যেমন দাম বৃদ্ধির কারণে মার খেয়েছে, তেমনই পুরনো গয়না ভেঙে নতুন গয়না তৈরির চল বেড়েছে বিগত কয়েক মাসে, বলছেন তাঁরা। তাঁদের কথায়, পুরনো সোনা গলিয়ে নতুন গয়না তৈরির প্রবণতা বৃদ্ধিতে কিছুটা লাভবান হয়েছেন ছোট ও মাঝারি মাপের স্বর্ণকাররা। তার কারণ, যাঁরা নতুন গয়নার বরাত দিতে আসেন, তাঁরা অর্ডারের পুরো টাকা কখনই অগ্রিম দেন না। তাই বহু ক্ষেত্রেই স্বর্ণকারকে সোনা কিনতে হয় ঋণ নিয়ে। তার সুদ মেটাতে হয় তাঁকে। কখনও মূলধনেও টান পড়ে। কিন্তু পুরনো সোনার ক্ষেত্রে স্বর্ণশিল্পীকে সোনা কিনতে হয় না। তিনি শুধু গয়না তৈরির মজুরি নেন। ছোট শিল্পীদের কাছে এটি অনেক বড় আর্থিক সুরাহা। অন্যদিকে পুরনো সোনা গলানোয় জিএসটি সংক্রান্ত কিছু আর্থিক ক্ষতি মেনে নিতে হয় ক্রেতাদের,  বলছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের কথায়, ক্রেতারা যখন পুরনো সোনা আনেন, তখন সেই সোনা গলিয়ে, তার মূল্যকে সাধারণত গয়না বরাতের অগ্রিম হিসেবে জমা করা হয়। এরপর যখন গয়না তৈরি হয়, তখন পুরো সোনার উপর তিন শতাংশ হারে জিএসটি ধার্য হয়। অর্থাৎ,  যে পুরনো সোনা তিনি দিয়েছিলেন, তার জিএসটি র সুরাহা ক্রেতারা পান না। তবে চড়া সোনার দরের কারণে এইটুকু ক্ষতি মেনে না নেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না ক্রেতাদের।
  • Link to this news (বর্তমান)