আজকাল ওয়েবডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে ফের একবার বিতর্কে জড়ালেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এবার তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণা ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ইতিমধ্যেই হুমায়ুন কবীরের সেই ভাষণের একটি ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে (যার সত্যতা আজকাল ডট ইন যাচাই করেনি)। ভিডিওতে হুমায়ুনকে বলতে শোনা যাচ্ছে... দু’ঘণ্টার মধ্যে ভাগীরথী–গঙ্গায় না ফেলতে পারলে রাজনীতি থেকে সরে যাব। শক্তিপুরে বসবাস করা বন্ধ করে দেব।’ ৩০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে এরপর হুমায়ুন আরও বেশ কিছু বক্তব্য রেখেছেন। জেলা বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, বুধবার সন্ধেয় শক্তিপুরের সবজি বাজার এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি কর্মীসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে হুমায়ুন কবীর মূলত অন্য একটি সম্প্রদায়ের মানুষকেই আক্রমণ করেছেন। শক্তিপুরের ওই এলাকায় রামনবমীর দিন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছিল। এদিকে, তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর স্বীকার করে নিয়েছেন ভিডিওতে যার গলা শুনতে পাওয়া যাচ্ছে সেটি তাঁরই। তবে তিনি বলেন, ‘ওই ভিডিওতে আমার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে এবং তা আংশিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘যোগী আদিত্যনাথ শক্তিপুরে এসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে বিষোদগার করেছিলেন তার জবাব দেওয়ার জন্য বুধবার শক্তিপুরে একটি কর্মীসভার আয়োজন করেছিলাম। সেখানে কিছু বিজেপি সমর্থক আমাকে উদ্দেশ্য করে কটু মন্তব্য করছিল।’ হুমায়ুনের দাবি ‘বক্তব্যতে বলেছি মমতা ব্যানার্জির প্রশাসন সকলকে সুরক্ষা দিচ্ছে। বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেছি, তারা যদি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের আক্রমণ করে, তাহলে চুড়ি পরে বসে থাকব না।’ হুমায়ুনের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে বিজেপির ৬৪ জেলা পরিষদ মণ্ডল সভাপতি গোলক ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল বিধায়ক তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে শক্তিপুরে হিন্দু–মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে নতুন করে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন। তাই ওঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত হুমায়ুন কবীরকে গ্রেপ্তার করা।’ গোলকবাবু আরও দাবি করেন, ‘শক্তিপুরে নির্বাচনী প্রচারে এসে যোগী আদিত্যনাথ কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করেননি।’