• Covishield ভ্যাকসিন নিয়ে মৃত্যুর অভিযোগ, মামলা করলেন ২ মৃত যুবতীর বাবা-মা
    Aajtak | ০২ মে ২০২৪
  • কোভিশিল্ড, অ্যান্টি-করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নেওয়ার অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই মৃত্যু হয় দুই কিশোরীর। তাঁদের বাবা-মারা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্রিটিশ ফার্মা জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা আদালতে স্বীকার করার পরেই তাঁরা নড়েচড়ে বসেন। এতদিন বিষয়টি নিয়ে আধা-নিশ্চিত ছিলেন তাঁরা। কিন্তু এবার খোদ সেই সংস্থাই আদালতে দাঁড়িয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। আর তারপরেই বাবা-মারা ন্যায়বিচারের আশা করছেন। মামলা দায়ের করেছেন আদালতে।

    ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্টের বিরুদ্ধে একটি ক্লাস-অ্যাকশন মামলা করা হচ্ছে। দাবি, কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় TTS - থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিন্ড্রোম হয়। এটি একটি গুরুতর শারীরিক পরিস্থিতি। এতে রক্ত জমাট বাঁধা এবং রক্তের প্লেটলেট সংখ্যা কম করে দেয়।

    AstraZeneca আদালতের নথিতে স্বীকার করেছে যে বিরল সাইড-এফেক্টে কোভিড -19 এর ভ্যাকসিন থেকে টিটিএস ঘটতে পারে।

    শুধু ভারত নয়। অক্সফোর্ড-অস্ট্রাজেনেকার এই কোভিড ভ্যাকসিন বিশ্বব্যাপী 'কোভিশিল্ড' এবং 'ভ্যাক্সজেভরিয়া' ব্র্যান্ড নামে বিক্রি হয়েছিল।

    ১৮ বছরের রিথাইকা শ্রী ওমত্রি
    সবেমাত্র দ্বাদশ পাশ করেছিল রিথাইকা শ্রী ওমত্রি। আর্কিটেকচার নিয়ে পড়াশোনাও শুরু করেছিলেন কৃতী ছাত্রী। ২০২১ সালের মে মাসে, তিনি কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেন। এর ৭ দিনের মধ্যে, রিথাইকার জ্বর আসে। বমি শুরু হয়। শরীর এতটাই দুর্বল হয়ে পড়ে যে তিনি হাঁটতে পারছিলেন না। এরপর তাঁকে এমআরআই স্ক্যানের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। দেখা যায় তাঁর মস্তিষ্কে একাধিক রক্ত জমাট বাঁধা এবং একটি রক্তক্ষরণ হয়েছে। দুই সপ্তাহের লড়াইয়ের পর মৃত্যু হয় রিথাইকার।

    রিথাইকার বাবা-মা তখন তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতেন না। কিন্তু দু'টি আরটিআই-এর পরে, ডিসেম্বরে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক নিশ্চিত করার পরেই তার পরিবার জানতে পারে যে, রিথাইকা 'থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিন্ড্রোমে' ভুগছিলেন। 'টিকার কারণে, পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে'।করুণ্যা

    ভেনুগোপাল গোবিন্দন নামের এক বাবাও তাঁর মেয়ে করুণ্যাকে একইভাবে হারান। টিকা নেওয়ার এক মাস পরে, ২০২১ সালের জুলাই মাসে মারা গিয়েছিলেন। জাতীয় কমিটি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, তার মৃত্যু ভ্যাকসিনের কারণেই হয়েছে।

    আদালতের স্বীকারোক্তির পর থেকেই বহু মানুষ এই ধরনের অভিযোগ করেছে। তাদের দাবি, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় স্বাস্থ্য ভেঙে গিয়েছে।

    এই মামলার শুরু করেছিলেন জেমি স্কট নামের এক ব্যক্তি। ২০২১ সালের এপ্রিলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই মস্তিষ্কে স্থায়ীভাবে আঘাত পেয়েছিলেন।

    AstraZeneca-Oxford-এর ভ্যাকসিন তাই ব্রিটেনে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে একাধিক নিরপেক্ষ সমীক্ষা অনুযায়ী মহামারী মোকাবিলায় এটি যথেষ্ট কার্যকার ছিল। তবে বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা নিজেরাই স্বীকার করছে সংস্থা।
  • Link to this news (Aajtak)