তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে প্রচার করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে অভিযোগ করেন আইএএস, আইপিএসদের ফোন করে তাদের হয়ে কাজ করতে বলছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার তেহট্টের হরিচাঁদ গুরুচাঁদ স্টেডিয়ামের জনসভা করেন তিনি। এদিন ফের এনআরসি, সিএএ-র বিরোধিতায় গর্জে ওঠেন। এদিন ফের আক্রমণের তীরে ছিল বিজেপি।
বলেন, "বাংলা বিজেপির কাছে দুয়োরানি, সেইজন্য বাংলাকে কিছু দেয় না। স্থানীয় নেতাদের কথায় আর্থিক বঞ্চনা করছে। মতুয়াদের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। মানুষে মানুষে বিভেদের জন্য সিএএ। বড়মা যতদিন বেঁচে ছিলেন ২০ বছর ধরে আমি তাঁর দায়িত্ব নিয়েছিলাম। বেল ভিউতে তাঁর চিকিৎশা করাতাম। যখন বড়মাকে কেউ চিনত না, আমি বারবার ছুটে যেতাম... ভোটের আগে বলে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেব, কীসের নাগরিকত্ব? আপনারা তো এমনিতেই নাগরিক। আপনাদের বের করার ক্ষমতা কারও নেই। সিএএ-র ফর্ম ফিলআপ করলেই ৫ বছর বিদেশি হয়ে যাবে। মানুষকে তাড়ানোর জন্য এনআরসি করা হচ্ছে। মতুয়াদের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে বিজেপি। আর ইউসিসি চালু হলে আদিবাসী, মতুয়া, রাজবংশীদের অস্তিত্ব থাকবে না। সংখ্যালঘুরা কোথায় যাবেন? এক দেশ, এক নেতা চাইছেন তাঁরা।"
তিনি আরও বলেন, "দ্বিতীয় দফায় ভোট ৫ শতাংশ বেশি হয়ে গেল কীকরে? আমি আমার সোর্স থেকে জানতে পেরেছি IAS, IPS-দের যার যে রাজ্যে বাড়ি, সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীদের দিয়ে ফোন করানো হচ্ছে। আর বলা হচ্ছে বিজেপির পক্ষে কাজটা করো। আমাকে কোনও পুলিশ, IAS, IPS বলেনি। কিন্তু খবর তো এসেছে।"
ইন্ডিয়া জোট দিল্লির সরকার ফেলে দেবে দাবি করে তিনি বলেন, "পরপর কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েও কোনও দুর্নীতি খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেক হয়েছে আর না, দিল্লির সরকারের এবার বদল চাই।"
এদিন মহুয়াকে পাশে নিয়ে মমতা বলেন, "ওকে পার্লামেন্ট থেকে তাড়িয়ে দিলেও মানুষের মন থেকে তাড়াতে পারেনি। তাই আবার গ্রহণ করে দেখিয়ে দেবেন, আপনারা তাড়ালেও আমরা গ্রহণ করেছি।"
উল্লেখ্য, শুক্রবার এই কৃষ্ণনগর শহরেই জনসভা করার কথা রয়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। হাইভোল্টেজ এই কেন্দ্রে মহুয়া মৈত্র বনাম বিজেপি প্রার্থী রানিমা অমৃতা রায়ের লড়াই হতে চলেছে।