• মাধ্যমিকে প্রথম কোচবিহারের চন্দ্রচূড়, দশম স্থানে কলকাতার সোমদত্তা
    বর্তমান | ০২ মে ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফলাফল। চলতি বছরে মাধ্যমিক শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৮০ দিন পর আজ ফল প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন ৯ লক্ষ ৫ হাজার ৫৭৮ জন পরীক্ষার্থী। সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৫২ জন। পাসের হার ৮৬.৩১ শতাংশ। ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৪১১ জন। আজ, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গতবারের তুলনায় পাসের হার বেড়েছে। পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে কালিম্পং। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। প্রতিবছরের ট্রেন্ড বজায় রেখে এবারেও প্রথম দশে জেলার জয়জয়কার। এই বছরে মাধ্যমিকে প্রথম দশে রয়েছেন মোট ৫৭ জন পরীক্ষার্থী। মেধাতালিকায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ৮ জন,দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে ৭ জন, পূর্ব বর্ধমান থেকে ৭ জন, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ৭ জন, বাঁকুড়া থেকে ৪ জন, মালদহ থেকে ৪ জন, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ৪ জন, নদীয়া থেকে ২ জন, ঝাড়গ্রাম থেকে ১ জন, কলকাতা থেকে ১ জন, বীরভূম থেকে ৩ জন, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ২ জন এবং উত্তর দিনাজপুর থেকে ১ জন রয়েছেন এই তালিকায়।

    এই বছর মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে কোচবিহারের চন্দ্রচূড় সেন। সে কোচবিহারের রামগোলা হাই স্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। পেয়েছে ৯৯ শতাংশ নম্বর। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে পুরুলিয়ার সাম্যপ্রিয় গুরু। সে পুরুলিয়া জেলা স্কুলের ছাত্রের। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। তৃতীয় হয়েছে মোট তিনজন। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাই স্কুলের উদয়ন প্রসাদ, বীরভূমের নিউ ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের পুষ্পিতা বাঁশুরি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের নৈঋতরঞ্জন পাল। প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১।

    চতুর্থ স্থানে রয়েছে হুগলির তপোজ্যোতি মণ্ডল। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। পূর্ব বর্ধমানের অর্ঘ্যদ্বীপ বসাক ৬৮৯ পেয়ে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। মাধ্যমিকে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কৃশাণু সাহা, অলিভ গায়েন, মহঃ সাহারুদ্দিন এবং কৌস্তভ সাহু। প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।

    সপ্তম স্থানে রয়েছে আসিভ কামাল, আবৃত্তি ঘটক, অর্পিতা ঘোষ, সাত্যতা দে, আরত্রিক সাহ, শুভমকুমার রায়, কৌস্তভ মাল, আলেখ্য মাইতি। সকলের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। অষ্টম স্থান অধিকার করেছে ইন্দ্রণী চক্রবর্তী, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য, তনুকা পাল এবং ঋদ্ধি মল্লিক। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬।

    নবম স্থানে রয়েছে রৌণক ঘোষ, অশ্মিতা চক্রবর্তী, বিশালচন্দ্র মণ্ডল, আমিনুল ইসলাম, চন্দ্রদীপ দাস, অরুণিমা চট্টোপাধ্যায়, অন্বেষা ঘোষ, ঋদ্ধিমান পাল, সায়ক শাসমল, সাগর জানা, স্বার্ণিক ঘটক, যিষ্ণু দাস, ঋতব্রত নাগ, ঋত্বিক দত্ত, সায়নদীপ মান্না, অরন্যদেব বর্মণ। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫।

    দশম স্থান অধিকার করেছে ভৌমি সরকার, বিশাল মণ্ডল, সৌভিক দত্ত, অনীশ কোনার, মৌর্য্য পাল, অর্ণব বিশ্বাস, সম্পূর্ণা দাঁ, নীলাঞ্জন মণ্ডল, সৌমিক খাঁ, সৌম্যদীপ মণ্ডল, অগ্নিভ পাত্র, শঙ্কর পারিয়া, রিতম দাস, শুভ্রকান্তি জানা, ঈশান বিশ্বাস, স্বর্ণালী ঘোষ, প্রাঞ্জল গঙ্গোপাধ্যায়, সোমদত্তা সামন্ত। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪।
  • Link to this news (বর্তমান)