• Kolkata High Court: পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী নন, তবু তাঁর ক্ষমতা আমরা এজলাসে বসে টের পাচ্ছি: বিচারপতি
    ২৪ ঘন্টা | ০২ মে ২০২৪
  • অর্ণবাংশু নিয়োগী: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সময় চাইলেন রাজ্যের  মুখ্যসচিব। ৭ সপ্তাহ সময় চাইলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। যে আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর কড়া মন্তব্য, "আমাদের কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমাদের বাধ্য করছেন মুখ্যসচিব। এটা কি বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার কৌশল? আমাদের মনে হচ্ছে যে তিনি ইচ্ছা করে আমাদের নির্দেশ অমান্য করছেন।" পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, "এই আদালত তো তাকে অনুমতি দেওয়ার জন্য বাধ্য করেনি। তাকে নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছে। নিজের দ্বায়িত্ব পালন করতে বলেছে। এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়ায় জরুরিভিত্তিতে শুরু করা প্রয়োজন রয়েছে। গণতন্ত্রে একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের এই ধরনের পদক্ষেপ কাম্য নয়। শেষ পর্যন্ত যদি মুখ্যসচিব অনুমতি না দেন তাহলেও আমরা বিস্মিত হব না। এটা একটা প্রাতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্র বলে আমাদের মনে হচ্ছে। অভিযুক্তরা এতই প্রভাবশালী যে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কলম কাজ করছে না। আদালতকে পর্যন্ত হিমশিম খেতে হচ্ছে নিজের দ্বায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে।" 

    বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী আরও বলেন, "এখানে আদৌ স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ বিচারপ্রক্রিয়া সম্ভব কিনা সেটা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ আছে। যদিও সেবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তদন্তকারী সংস্থাকেই নিতে হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী না থাকলেও তার ক্ষমতা আমরা এজলাসে বসে টের পাচ্ছি। আমরা ব্যথিত। এটা কি আমলাতান্ত্রিক অলসতা নাকি এর পিছনে অন্য কিছু আছে?" জানতে চান বিচারপতি বাগচী। বলেন, "আপনারা আদালত অবমাননা রুলকে আমন্ত্রণ করছেন! তারপর ক্ষমা চাইবেন অথবা চ্যালেঞ্জ করে মামলা হবে।"প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার জন্য সিবিআই যে অনুমোদন রাজ্যের কাছে চেয়েছিল সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এদিন ফের সময় চাইলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। উল্লেখ্য, এর আগেও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ৪ বার সময় দিয়েছিল আদালত। এখন আগামিকাল জামিনের মামলার চূড়ান্ত শুনানি করবে বিচারপতি  জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)