• ইসলাম গ্রহণ করে ৪৪ বছর আগে হেমাকে বিয়ে, সানি-ববির মা'কে ডিভোর্স দেননি ধর্মেন্দ্র
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ মে ২০২৪
  • চার সন্তানের বাবা ধর্মেন্দ্রর প্রেমে পড়েছিলেন বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনী। সুপারস্টার জিতেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ে ভেঙে পরিবারের অমতে বিবাহিত ধর্মেন্দ্রর হাত ধরেছিলেন হেমা। পরিবার-সমাজের পরোয়া না করে মনের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ১৯৮০ সালের ২রা মে ‘নিকাহ’ সুসম্পন্ন হয়েছিল দিলাওয়ার খান ও আয়েশা খানের (ধর্ম পাল্টানোর পর ধর্মেন্দ্র ও হেমার নাম)। বৃহস্পতিবার তাদের ৪৪ তম বিবাহবার্ষিকীতে বাবা-মা'র লেন্সবন্দি মিষ্টি মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন হেমা-ধর্মেন্দ্র কন্যা এষা দেওল। 

    এষা দুজনের একটি রোম্যান্টিক ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, সবুজ শার্ট পরা ধর্মেন্দ্রর কাঁধে মুখ ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ৭৫ বছরের স্বপ্ন সুন্দরী হেমা। তাঁর পরনে ফুলেল প্রিন্টেট কুর্তা। ধর্মেন্দ্রর পরনে সবুজ ফুল শার্ট, বরের হাত শক্ত করে ধরে রয়েছেন অভিনেত্রী। দুজনেরই মিষ্টি হাসি থেকে চোখ ফেরানো কঠিন। ছবির ক্যাপশনে এষা লিখেছেন, ‘আমার বাবা ও মাকে বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা। আমি তোমাদের ভালোবাসি এবং আমি শুধু তোমাদেরকে জড়িয়ে ধরতে চাই।’

    অভিনয় কেরিয়ার শুরুর আগেই পরিবারের পছন্দ করা মেয়ে প্রকাশ কৌরকে বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। প্রকাশের সঙ্গে ধর্মেন্দ্রর বিয়ে হয় ১৯৫৪ সালে। সেইসময় অভিনেতার বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। হেমা-র সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালেও কোনওদিন প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেননি অভিনেতা। প্রকাশ কৌর ও ধর্মেন্দ্রর চার সন্তান- সানি দেওল, ববি দেওল এবং দুই মেয়ে বিজেতা ও অজিতা। অন্য়দিকে হেমা ও ধর্মেন্দ্রর দুই কন্য়া- এষা দেওল এবং অহনা দেওল।

    হেমা ইনস্টাগ্রামে একটি ফ্যান-মেড ভিডিওও শেয়ার করেছেন যা দম্পতির সেরা মুহুর্তগুলি সংকলন করে। সেই ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখা-'আজ আমাদের বিবাহবার্ষিকী! ৪৪ বছরের একাত্মতা, দুটি সুন্দরী মেয়ে, সুন্দর নাতি-নাতনি আমাদের ঘিরে রেখেছে এবং তাদের ভালোবাসায় আমাদের ডুবিয়ে দিচ্ছে! আমাদের ভক্তরা এবং তাদের সীমাহীন প্রশংসা! জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে এর চেয়ে বেশি আর কী চাইতে পারি? এই সুখের উপহারের জন্য সর্বশক্তিমানের প্রতি আমাদের চিরকৃতজ্ঞতা'। 

    ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর প্রথম দেখা হয় ১৯৭০ সালে, তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান ছবির শুটিংয়ের সময়। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দু'জনে। তারপরেই শুরু দুজনের প্রেমের গল্প। ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে মেয়ের প্রেম মেনে নিতে পারেননি হেমার বাবা, তাঁর মৃত্যুর পর ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। 

    হেমা আর ধর্মেন্দ্র শেষজীবনে একছাদের তলায় থাকেন না। তবে তাতেও আফসোস নেই অভিনেত্রীর। তিনি মানিয়ে নিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘কেউই চায় না যে তাঁর সঙ্গে এটি ঘটুক। তবে মেনে নিতে হবে যে এটি হয়েছে এবং এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিটি মহিলা একটি সাধারণ পরিবারের মতোই, স্বামী এবং সন্তান কামনা করে, কিন্তু মাঝে মাঝে, জিনিসগুলি পরিকল্পনা অনুযায়ী হয় না।’

    আজও ধর্মেন্দ্রর পৈতৃক ভিটেতে ঢোকবার অধিকার পাননি হেমা। বিয়ের ৪৪ বছর পরেও সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত অভিনেত্রী। ধর্মেন্দ্রকে সর্বশেষ শহীদ কাপুর এবং কৃতি সাননের 'তেরি বাতোঁ মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া' ছবিতে দেখা গিয়েছিল। এরপরে তাকে শ্রীরাম রাঘবনের 'ইক্কিস' ছবিতে দেখা যাবে। চলতি লোকসভা ভোটের মধ্যে হেমা মালিনী তাঁর রাজনৈতিক পদ নিয়ে ব্যস্ত। বিজেপির টিকিটে ফের মথুরা থেকেই লড়ছেন হেমা, এবার হ্যাটট্রিকের লক্ষ্য়ে তিনি। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)