• BDO-র চেয়ারে বসে দলের মিটিংয়ে যোগ TMC বিধায়কের, বিতর্ক ভগবানগোলায়
    এই সময় | ১২ এপ্রিল ২০২৩
  • West Bengal News : সামনে কম্পিউটার স্ক্রিনে দলীয় পরমর্শ দিচ্ছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রোতা দলের বিধায়ক থেকে শুরু করে অন্যান্য জেলার নেতৃবৃন্দ। চিত্রটি তৃণমূলের কোনও দলীয় কার্যালয়ের নয়। ভগবানগোলা BDO অফিসের। সরকারি পদাধিকারীর চেয়ারে বসে তৃণমূলের মিটিং সারছেন বিধায়ক। ব্যবহার করছেন সরকারি কম্পিউটারও। ঘটনাটি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

    সোমবার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের জেলাস্তরের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন জেলা থেকে দলীয় নেতৃত্বরা এই বৈঠকে নেট মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন। সেইমতো মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলার একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব এই বৈঠকে যোগ দেন। তবে দলীয় কোনও কার্যালয় থেকে নয়। স্থানীয় BDO অফিস থেকে।

    সরকারি দফতর ব্যবহার করে কী করে একটি দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্ভব? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। উপরন্তু, সরকারি দফতরের জিনিস ব্যবহার করে, সরকারি দফতরে অফিস চলাকালীন সময়ে এই বৈঠক কীভাবে সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে ভগবানগোলার BDO-র কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

    থেকে সংগ্রহীত কিছু ছবি (ছবি যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল) থেকে দেখা যায়, BDO অফিসে আধিকারিকের চেয়ারে বসে দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করছেন বিধায়ক ইদ্রীশ আলি। BDO অফিসের ল্যাপটপের একদিকে রয়েছেন ইদ্রিশ আলি। অপরপ্রান্তে রয়েছেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর BDO অফিসের অন্যান্য চেয়ারে লাইন দিয়ে বসে রয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক চাঁদ মহম্মদ সহ প্রথম সারির ব্লক নেতা।

    তবে বিষয়টি নিয়ে বিধায়ক ইদ্রিশ আলির সাফাই, "দেখুন এটা তো গ্রামীণ এলাকা। এখানে সব জায়গায় কম্পিউটার, নানারকম মেশিন সিস্টেম তো নেই। আমি যেখানে থাকি, সেখানেও নেই। যার ফলে কনফারেন্সটা BDO সাহেবের ওখানে করেছিলাম। BDO সাহেব বলেছিলেন করতে কোনও অসুবিধা নেই।"

    বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সমালোচনা করেছেন স্থানীয় বিরোধী দলের সদস্যরা। , সরকারি দফতর ব্যবহার করে এরকম দলীয় মিটিং করাটা ঠিক নয়। তৃণমূল দলের সঙ্গে সরকারকে গুলিয়ে ফেলছে। যার একাধিক উদাহরণ রয়েছে রাজ্যে।

    তবে ইদ্রিশ আলির বক্তব্য, "কে কি বলল, আমি জানি না। তবে আমার মনে হয়, এখানে কোনও অন্যায় জিনিস কিছু করা হয়নি।" তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)