• তীব্র দাবদাহে মাঠে প্রৌঢ়ের মৃত্যু, সান স্ট্রোক কি না খতিয়ে দেখছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর
    এই সময় | ১২ এপ্রিল ২০২৩
  • গোটা রাজ্যের তাপমাত্রা বেশ কয়েকদিন ধরে লাফিয়ে বাড়ছে। গরমে অসুস্থ হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলিতে। গোঘাটের নকুন্ডা এলাকার এক ব্যক্তি মাঠে যাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। তীব্র দাবদাহের কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম মিলন দাস। বয়স ৫৮ বছর।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সানস্ট্রোকের কারণেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এখনও এই নিয়ে জানানো হয়নি। হুগলি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া বলেন, “এমন কিছু আমি এখনও শুনিনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।”

    বৈশাখ মাস এখনও পড়েনি, তা সত্ত্বে তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুরের পর থেকেই রাস্তাঘাটে লোক নেই। ঘরবন্দি হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। প্রকৃতির তীব্র দাবদাহের আক্রমন থেকে বাঁচতে দ্রুত কাজ সেরে বাড়ি ফিরছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। তারই মধ্যে গোঘাটের নকুন্ডায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    স্থানীয় এক বাসিন্দা এই প্রসঙ্গে বলেন, "যা তীব্র গরম পড়েছে! চড়া রোদের মধ্যে ওই ব্যক্তি মাঠে যাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। সবাইকে সাবধান হয়ে চলাফেরা করা উচিৎ।"

    পিরু দাস নামে আরও এখ স্থানীয় বাসিন্দা এই প্রসঙ্গে বলেন, "মাঠে কাজে গিয়েছিল ওই ব্যক্তি। ছাতা মাথায় দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎ করেই পড়ে যায়। প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাঁর মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকে। তীব্র গরমের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।"

    উল্লেখ্য হিট স্ট্রোকের অপর নামই সান স্ট্রোক। ঘামের মাধ্যমে শরীর ঠান্ডা হতে পারলেই সাধারণত এই ঘটনা ঘটে। শরীর অতিমাত্রায় গরম হয়ে গেলেই মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। যাঁরা গরম ও আদ্র জলবায়ুতে বসবাস করেন, তাঁদের হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রোদের মধ্যে পরিশ্রমের কাজ করলে ও ডিহাইড্রেশনে ভুগলে হিট স্ট্রোক হয়।

    হিট স্ট্রোকের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে হঠাৎ করেই শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। আরও যে লক্ষণগুলো দেখা যায় তা হল- ক্লান্তি, মাথাব্যথা ও মাথা ঘোরা, ঘাম কমে যাওয়া, পেশীর সংকোচন, পালস রেট দ্রুত হওয়া, বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া, ত্বকে লালভাব দেখা যাওয়া। এছাড়াও শ্বাসকষ্টের প্রবণতাও দেখা দেয়।
  • Link to this news (এই সময়)