সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, সুনীতা কাপাগুন্টা নামে গুরুগ্রামের বাসিন্দা এক মহিলা জানিয়েছেন, গত বছরের ডিসেম্বরে ফেসবুকের মাধ্যমে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। সে সময় নিজেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ়ের বিমানচালক হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। পুলিশের কাছে অভিযোগপত্রে ৬১ বছরের সুনীতার দাবি, ‘‘৫ ডিসেম্বর ওই ব্যক্তি জানান, আইফোন, ঝুটো গয়না, ঘড়ি, নগদ টাকা-সহ নানা উপহার সামগ্রীর একটি বাক্স দিতে চান তিনি। সেই বাক্সটি পাঠানোর জন্য আমার বাড়ির ঠিকানা এবং ফোন নম্বর জানতে চান।’’ বৃদ্ধার আরও দাবি, ওই উপহারের বাক্সটি পেতে হলে তাঁকে ৩৫,০০০ টাকা দিতে হবে বলেও জানিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। সে টাকা দেওয়ার পর বিমানবন্দরের কর্মী পরিচয় দিয়ে অন্য এক জন তাঁকে ফোন করে জানান, বিমানবন্দরে ওই উপহারের বাক্স আটক করেছে শুল্ক দফতর। সেটি পেতে হলে ফেরৎযোগ্য ১ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
সুনীতার দাবি, জরিমানা হিসাবে ৯৫,০০০ টাকা দেওয়ার পর একটি শংসাপত্র দেওয়ার নামে পরে ২ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। এর পর ৯ ডিসেম্বর একটি এসএমএসের মাধ্যমে তাঁর কাছে আরও টাকার দাবি করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপু়ঞ্জের জঙ্গিদমন শাখার তরফে ওই এসএমএস পাঠানো হয়েছে বলে দাবি। এর পর কখনও ৩৫ কখনও বা ৫০ লক্ষ টাকা দিতে হয়েছে তাঁকে। লক্ষ লক্ষ টাকা দিতে গয়না বিক্রি করা ছাড়াও তাঁকে ঋণ নিতে হয়েছিল বলে সুনীতার দাবি। এ ভাবে দফায় দফায় মোট ২ কোটি টাকা খুইয়েছেন তিনি। ছেলের সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের টাকা তুলতে গেলে বিষয়টি নজরে পড়ে পরিবারের। এর পর পুলিশের দ্বারস্থ হন।
মানেসর থানার আধিকারিক নরেশ কুমার জানিয়েছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ ও ৪২০ ধারায় এহং আইটি অ্যাক্টের ৬৬-ডি ধারায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা রুজু করা হয়েছে।