• মর্গে চিকিৎসকের আকাল, মৃতদেহ দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকায় তুমুল বিক্ষোভ হাসপাতালে
    এই সময় | ০২ অক্টোবর ২০২২
  • পুলিশ মর্গে আসছেন না দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসক। দীর্ঘক্ষণ ধরে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। ক্ষুব্ধ মৃতের পরিবার। ঘটনা বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে (Balurghat District Hospital)। হাসপাতাল সুপার ও ওয়ার্ড মাস্টারের ঘরের সামনে শনিবার বিক্ষোভ দেখালেন মৃতের পরিবার, পরিজনরা৷ দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর বিকেল সাড়ে তিনটের পর ঘটনাস্থলে আসে দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসক। এরপর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। যদিও পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে বালুরঘাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় একটি মাত্র মর্গ (Morgue) রয়েছে তা বালুরঘাটে। জেলার কোনও প্রান্তে অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে তার ময়নাতদন্তের জন্য দেহ আনা হয় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মোট পাঁচটি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আনা হয়৷ কুমারগঞ্জ, গঙ্গারামপুর ও হরিরামপুর থেকে একটি করে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আসে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে। বালুরঘাট থানার তরফে দুটি দেহ আনা হয়৷ অভিযোগ, সকাল থেকে মৃতদেহ নিয়ে আসার পরও সময় মত মর্গে আসেন না কোনও চিকিৎসক। বিকেল সাড়ে তিনটে গড়িয়ে গেলেও দেখা মেলেনি চিকিৎসকের। একাধিকবার হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার ও সুপারের কাছে গিয়ে বললেও কোনও লাভ হয়নি। এরপরই দ্রুত ময়নাতদন্ত করার দাবিতে একাধিক মৃতের পরিবার পরিজনরা বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে সুপার ও ওয়ার্ড মাস্টারের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভ প্রায় এক ঘন্টা ধরে চলে। দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও হাসপাতালের তরফে জানানো হয় তিনি ওটিতে আছেন একটু বাদে যাচ্ছেন। যদিও বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, হাসপাতালে নয় তিনি আছেন নার্সিংহোমে।

    মৃতের পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে (Police Morgue) নেই কোনও স্থায়ী চিকিৎসক। যার ফলে একেক দিন একেক চিকিৎসক ময়নাতদন্তের জন্য আসেন। কোনওদিন সময় মত আসলেও অনেক দিন বিকেল গড়িয়ে গেলেও চিকিৎসক আসে না বলে অভিযোগ। তাই পুলিশ মর্গে স্থায়ী চিকিৎসকের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

    এ বিষয়ে বালুরঘাট পুলিশ মর্গে দেহ নিয়ে আসা সঞ্জিত মাহাতো জানান, সকাল থেকে তাঁরা বসে আছেন। অথচ কোনও চিকিৎসকের দেখা নেই। দূরদূরান্ত থেকে মৃতদেহ নিয়ে এসেছেন বালুরঘাটে। বেশ কয়েক ঘন্টা বসে আছেন তারা। অথচ কোনও চিকিৎসক আসছেন না৷ এনিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলা হলে তাঁরাও বারবার বলছেন, চিকিৎসক কিছুক্ষণ বাদে আসবেন। বিষয়টি নিয়ে বালুরঘাট হাসপাতালের সুপার কৃষেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, "ওই চিকিৎসক অস্ত্রোপচারের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। বিষয়টি জানার পরে তাঁকে বলা হয়। এরপরে ওই চিকিৎসক মর্গে আসেন।"
  • Link to this news (এই সময়)