• ৭৫ জেলায় জারি ১৪৪ ধারা, আতিক খুনে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
    ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস | ১৬ এপ্রিল ২০২৩
  • ছেলের পর গুলিতে ঝাঁঝরা গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তার ভাই। শনিবার গভীর রাতে উত্তরপ্রদেশে কারাগারে থাকা গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা আতিক আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে তার ছেলে ১৯ বছর বয়সি আসাদ আহমেদ নিহত হওয়ার মাত্র একদিন পরে এই ঘটনা ঘটল। টেলিভিশনের ছবিতে দেখা গিয়েছে, আতিক আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় কমপক্ষে দু’জন ব্যক্তি পিস্তল উঁচিয়ে তাদের ওপর পরপর গুলি চালায়। এর উত্তরপ্রদেশের ৭৫টি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

    শনিবার রাতে গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরাফকে খুনের পর উত্তরপ্রদেশ জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। প্রয়াগরাজ জেলায়, যেখানে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে এবং আশেপাশের এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আতিক আহমেদ ও আশরাফকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন তারা।ঘটনার জেরে প্রয়াগরাজে ১৭ জন পুলিশ আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

    আতিক এবং তার পরিবারের সদস্যরা বারবার আদালতের কাছে সুরক্ষা চেয়েছিলেন। তারা হুমকির সম্মুখীন বলে আদালতের কাছে অভিযোগও করেছিলেন। আতিকদের অভিযোগ ছিল যে তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আতিক উমেশ পাল হত্যা মামলায় পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন নিজের সুরক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। গত মাসে উমেশ পাল হত্যা মামলায় আতিক-সহ দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আতিকের ভাই আশরফকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে।

    আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফ আহমেদকে চিকিৎসার জন্য আনা হয় এবং ‘মিডিয়া বাইট’ দেওয়ার সময় তিনজন সাংবাদিক পরিচয়ে এসে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে আটক করা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রয়াগরাজ পুলিশ কমিশনার রমিত শর্মাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে “ঘটনার জেরে একজন সাংবাদিকও পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন এবং একজন কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন,”।

    প্রয়াগরাজ পুলিশ জানিয়েছে তিন আততায়ী মিডিয়াকর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়ে আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরাফের উপর গুলি চালায়। ঘটনার পরই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকে বিষয়টি্র তদন্তের নির্দেশ দেন। ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
  • Link to this news (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)