• গড়াপেটা কাণ্ডে নয়া মোড়! আইপিএলে নয়, তার আগেই জুয়াড়ির প্রস্তাব পেয়েছিলেন সিরাজ ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৫০
    আনন্দবাজার | ১৯ এপ্রিল ২০২৩
  • ভারতীয় ক্রিকেটে ম্যাচ গড়াপেটা কাণ্ড হঠাৎই নয়া মোড় নিল। প্রথমে জানা গিয়েছিল, বেঙ্গালুরুর জোরে বোলার মহম্মদ সিরাজ আইপিএলের সময় ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব পেয়েছিলেন। পরে জানা গিয়েছে, আইপিএল নয়, তিনি জুয়াড়ির প্রস্তাব পেয়েছিলেন ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়েরও আগে। সম্ভবত জানুয়ারি মাসে এই প্রস্তাব পেয়েছিলেন সিরাজ। তখনই বোর্ডের দুর্নীতি বিরোধী শাখার কর্তাদের জানিয়েছিলেন, যে ঘটনা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে।

    সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছিল, আইপিএলের ম্যাচে প্রচুর টাকা ক্ষতি হওয়ায় বেঙ্গালুরু দলের অন্দরের খবর জানতে চেয়েছিলেন। তবে পরে তারা জানিয়েছে, ভারতের ম্যাচে জুয়া খেলতে গিয়ে তাঁর ক্ষতি হয়েছে। চরম হতাশা থেকেই সিরাজের ফোন নম্বর জোগাড় করে তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ করে তিনি দলের অন্দরের খবর জানতে চান। তাই দেখে সঙ্গে সঙ্গে বোর্ডকে জানান সিরাজ।

    অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়‌ের আগে ঘরের মাঠে নিউ জ়‌িল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজ়‌ খেলেছে ভারত। দু’টি সিরিজ়েই জিতেছে ভারত। ঠিক কোন ম্যাচগুলিতে ওই জুয়াড়ির ক্ষতি হয়েছে তা জানা যায়নি। বোর্ডের এক সূত্র সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “সিরাজকে যে বার্তা পাঠিয়েছিল সে পেশাদার কোনও জুয়াড়ি নয়। হায়দরাবাদের এক জন বাসচালক যে ভারতের ম্যাচে নিয়মিত জুয়া খেলে। একাধিক জুয়ায় হেরে যাওয়ার পর হতাশা থেকেই সিরাজকে হোয়াটসঅ্যাপ করেছিল।” সিরাজের অভিযোগ পাওয়ার পরেই অন্ধ্রপ্রদেশের পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।

    অতীতে ম্যাচ গড়াপেটা কাণ্ডে কলঙ্কিত হয়েছে আইপিএল। এস শ্রীসন্থ, অঙ্কিত চহ্বান এবং অজিত চাণ্ডিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২০১৩ সালে। তার পরে চেন্নাই দলের তৎকালীন মুখ্যকর্তা গুরুনাথ মেইয়াপ্পানকেও গ্রেফতার করা হয়। চেন্নাই এবং রাজস্থান দলকে ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িত থাকার অপরাধে দু’বছর করে নির্বাসিত করা হয়।

    তার পর থেকে আইপিএল-সহ সব ধরনের ক্রিকেটে দুর্নীতি আটকাতে সক্রিয় বোর্ড। ওই ঘটনার পর থেকে সে ভাবে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ প্রকাশ্যে আসেনি। এ বারই হঠাৎ জুয়াড়ির প্রস্তাব পাওয়ার কথা জানালেন এক ক্রিকেটার। এখন প্রতিটি আইপিএল দলে এক জন করে দুর্নীতিবিরোধী দলের সদস্য থাকেন। তারা ক্রিকেটারদের সঙ্গে একই হোটেলে থাকেন এবং সর্ব ক্ষণ তাঁদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন। পাশাপাশি মরসুম শুরুর আগে সব ক্রিকেটারকে নিয়ে একটি কর্মশালা আয়োজন করা হয়, যেখানে কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না, তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)