• Berhampore: বহরমপুরে অপহরণ করে এক যুবককে খুন, গ্রেপ্তার মূল চক্রী
    আজকাল | ০২ অক্টোবর ২০২২
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বহরমপুরের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা বাপ্পা মণ্ডল খুন হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আততায়ীকে গ্রেপ্তার করল বহরমপুর থানার বিশেষ তদন্তকারী দল।

    গত মাসের ২৮ তারিখ সন্ধেবেলা নিজের বেকারির দোকান থেকে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি বাপ্পা। পরের দিন সকালে বহরমপুর থানার রানিনগর এলাকাতে নির্মীয়মাণ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বাপ্পার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। 

    মৃতদেহ উদ্ধারের পর বাপ্পার বাবা মিলন মণ্ডল দাবি করেন, ২৮ তারিখ রাতে তাঁর ছেলে অপহরণ হয়েছিলেন এবং অপহরণকারীরা তাঁকে ফোন করে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। সাদা পোশাকের পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অপহরণকারীদেরকে মুক্তিপণের কিছু টাকা দিতে যাওয়ার সময় অপহরণকারীরা তাঁর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বহরমপুর থানার পুলিশ তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার বাপ্পার দেহ উদ্ধার করে। 

    রবিবার বহরমপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার কে এস রাজকুমার বলেন, 'বাপ্পা মণ্ডল খুনের ঘটনায় বহরমপুর থানার পুলিশ শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ কর্ণসুবর্ণ রেলস্টেশনের কাছ থেকে খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত আক্রম শেখকে গ্রেপ্তার করেছে।' 

    পুলিশ সুপার জানান, 'বাপ্পা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে বহরমপুর থানার চারটি বিশেষ তদন্তকারী দল বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ এবং বাপ্পার মোবাইল ফোনের কল ডিটেলস পরীক্ষা করা শুরু করে। এরপর এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তার সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়। অবশেষে শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ শিয়ালমারার বাসিন্দা আক্রম শেখকে বাপ্পাকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।' 

    রাজকুমার জানান, 'অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ইতিমধ্যেই এই খুনের ঘটনা স্বীকার করেছে। আক্রম জানিয়েছে বাপ্পাকে তিনি দীর্ঘদিন ধরে চিনত এবং দু'জনের ফোনের কল রেকর্ড দেখে আমরা জানতে পেরেছি ঘটনার দিন একাধিকবার আক্রম এবং বাপ্পার মধ্যে ফোনে কথোপকথন হয়েছে।' 

    পুলিশ সুপার আরও বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে আক্রম এবং বাপ্পার মধ্যে টাকা নিয়ে বিবাদ চলছিল। সম্প্রতি বাপ্পাকে আক্রম টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দিলেও সেই টাকা সে ফিরে পাচ্ছিল না।' পুলিশি জেরায় আক্রম দাবি করেছে, তার কিছু টাকার খুব জরুরি প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বাপ্পাকে যে টাকা সে ধার দিয়েছিল বারবার বলা সত্ত্বেও সেই টাকা ফিরে পাচ্ছিল না। তাই বুধবার সন্ধেবেলায় আক্রম, বাপ্পাকে কিছু আলোচনার জন্য একটি নির্জন জায়গায় ডাকে। সেখানেই আক্রম বাপ্পাকে খুন করে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।

    পুলিশ সুপার বলেন, 'বাপ্পাকে খুন করার পরিকল্পনা নিয়ে আগেভাগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল আক্রম। বাপ্পা সেখানে পৌছনোর পর দু'জনের মধ্যে কিছু কথা কাটাকাটি হওয়ার পরেই আক্রম ওই যুবককে খুন করে।' 

    তিনি আরও বলেন, 'বাপ্পাকে খুন করার কিছুক্ষণ পর অভিযুক্ত আক্রম, বাপ্পার ফোন থেকে তাঁর বাবা মিলন মণ্ডলকে ফোন করে মুক্তিপণের টাকা আনতে বলে এবং তারপরে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।'
  • Link to this news (আজকাল)