টলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা হলেন প্রসেনজিৎ। যিনি টিনসেল টাউনে পরিচিত বুম্বা দা হিসাবে। নিজের অভিনয় দিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি অসংখ্য দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন। কর্মাশিয়াল থেকে অন্য ধারার সিনেমা, প্রসেনজিৎ বার বার নিজেকে ভেঙে আবার গড়েছেন। তাঁর অভিনয় নিয়ে কোনও কথা হবে না। ৬০ বছর বয়সেও সমান দক্ষতায় ইন্ডাস্ট্রি কাঁপিয়ে চলেছেন। যদিও বুম্বাদাকে দেখলে তাঁর বয়স বোঝার জো নেই। অত্যন্ত কঠোর ডায়েটের মধ্যে থাকেন প্রসেনজিৎ। আসুন জেনে নিই অভিনেতার এই বয়সেও ফিটনেস থাকার রহস্যটা কী।
২০ বছর আগে ভাত খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন
শোনা যায়, প্রসেনজিৎ নাকি একেবারেই ভাত খান না। প্রায় ২০ বছর আগেই ভাত খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন অভিনেতা। বাইরের কোনও খাবারই তিনি মুখে তোলেন না। বুম্বাদা যে কোনও টলিউড পার্টি বা ইভেন্টে গেলে খুব মেপে খাবার খান। বলা চলে স্যালাডের ওপরই তিনি রয়েছেন। খাবারের বিষয়ে তিনি খুবই সচেতন থাকেন। এদিকে প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে শসা আর টক দই থাকা চাই। সেই সঙ্গে থাকে ফলের রসও। নিয়ম মেনে পুষ্টিকর খাবার খান।
ডাবের জল ও ব্ল্যাক কফি
শ্যুটিংয়ে যখন থাকেন তখনও প্রসেনজিৎ খেয়ে থাকেন ডাবের জল, ব্ল্যাক কফি ও টকদই। একাধিক তারকাদের মুখেও শোনা যায় প্রসেনজিৎ কড়া ডায়েটের মধ্যেই থাকেন। খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি প্রসেনজিৎ কঠোর শারীরিক পরিশ্রমও করেন। তাঁর সুঠাম শরীরে নেই কোনও মেদ। যে কোনও পোশাকেই প্রসেনজিৎকে দারুণ মানিয়ে যায় ঠিক এই কারণেই। ৬০ বছর বয়স হলেও এখনও নিজেকে যেভাবে ধরে রেখেছেন তা রীতিমতো অন্যান্য অভিনেতাদের ঈর্ষা জাগাতে পারে।
বিরাট কোহলির ডায়েট মেনে চলার চেষ্টা করেন
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ তাঁর ডায়েট ও ফিটনেস নিয়ে বলতে গিয়ে জানান যে তিনি ক্রিকেটার বিরাট কোহলির ভীষণ ভক্ত। তিনিও স্বাস্থ্য সচেতন। বিরাটের ডায়েট চার্ট মেনে চলার চেষ্টা করেন অভিনেতা। তবে তিনি ডায়েটের জন্য ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে থাকেন। তবে প্রসেনজিৎ জানিয়েছেন, তিনি একবারেই জাঙ্ক ফুড খাবেন না। মিষ্টি তিনি একেবারেই খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। প্রোটিন ব্যালান্স করে খান বুম্বা দা।
চিট ডায়েট করে থাকেন বুম্বা দা
ভাইফোঁটার সময়েও দেখা গিয়েছে বোন পল্লবীর থেকে ফোঁটা নেওয়ার সময় তিনি প্রায় কিছুই মুখে তোলেন না। তবে প্রসেনজিৎ জানিয়েছেন যে মাঝে মাঝে তিনি চিট ডায়েট করে থাকেন। সেখানে যেটা যেটা তিনি খেতে ভালোবাসেন সেটাই খান তবে খুবই অল্প পরিমাণে।