• West Bengal Electricity : বিদ্যুৎ চাহিদায় নয়া রেকর্ড, সতর্কবার্তা শহরের গ্রাহকদের
    এই সময় | ২০ এপ্রিল ২০২৩
  • এই সময়, কলকাতা ও পুরুলিয়া: প্রবল তাপপ্রবাহের জেরে রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদাতেও নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে প্রতিদিন। মঙ্গলবার রাতে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় ৯০২৪ মেগাওয়াটে, যা সংস্থার ইতিহাসে সর্বকালীন রেকর্ড। আবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে কলকাতা, শহরতলি থেকে বিভিন্ন জেলায় চলছে দুর্ভোগও। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসি, পাখার ব্যবহারের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা একলাফে অনেকটা বেড়ে গিয়ে ট্রান্সফর্মার বিকল হয়েই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

    প্রবল গরমে রাস্তাঘাটে বেরিয়ে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন অনেকে। পুরুলিয়ায় গত ক’দিন ধরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। বুধবার তা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলে।

    এদিন ঝালদার হাটতলা ময়দানে অসুস্থ হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। মালতী কালিন্দী নামে বছর চল্লিশের ওই মহিলা গরমে অসুস্থ হয়েই মারা গিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। যদিও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে সরকারিভাবে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি।

    বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে বলা হয়েছে, গোটা একটি বছরের নিরিখে বণ্টন সংস্থার চাহিদায় আগের রেকর্ড ছিল ২০২২ সালের ১৭ অগস্ট, ৭৮৩২ মেগাওয়াট। তবে সোমবার রাতে ওই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল বণ্টন সংস্থা এলাকার বিদ্যুতের চাহিদা। সোমবার রাত ১১টায় চাহিদা ছিল ৮,৮৭০ মেগাওয়াট।

    মঙ্গলবার রাতে সেই রেকর্ডও ভেঙে বিদ্যুতের চাহিদা ৯০২৪ মেগাওয়াটের নতুন শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বুধবার বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে আমরা গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই রেকর্ড চাহিদা পূরণ করে বাংলার ২ কোটি ২২ লক্ষ গ্রাহককে সুষ্ঠুভাবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দিতে আমরা সক্ষম হয়েছি। এটা এখন পর্যন্ত স্বাধীনোত্তর বাংলায় সর্বকালীন রেকর্ড।"

    মন্ত্রী বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থা এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করে ১৮ এপ্রিল ২০২৩-এর বিদ্যুতের এই রেকর্ড পরিমাণ চাহিদা মিটিয়ে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে।"

    তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সিইএসসি-র সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ২,৫২৪ মেগাওয়াট এবং এটাও সর্বকালীন রেকর্ড। বুধবার সিইএসসি এলাকায় সর্বোচ্চ চাহিদা কিছুটা কমে পৌঁছেছিল ২,৩৬৫ মেগাওয়াটে। এদিন আবার এই বিদ্যুৎ সংস্থার তরফে গ্রাহকদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বিচার বিবেচনা করে বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম ব্যবহার করেন,

    যাতে চরম ওভারলোডিংয়ের জেরে বিদ্যুৎ বিপর্যয় না-হয় । কলকাতার কয়েকটি জায়গায় মাইকে এও প্রচার করা হচ্ছে , নতুন করে গ্রাহকরা কেউ এসি, এয়ারকুলার লাগাতে চাইলে তাঁরা যেন সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বিষয়টি জানান। তা না-হলে ওভারলোডিংয়ের জেরে ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
  • Link to this news (এই সময়)