Indonesia Football Stampede, FIFA : পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৪, 'কালো দিন' বলে মন্তব্য করলেন ফিফা প্রধান ইনফান্তিনো
২৪ ঘন্টা | ০২ অক্টোবর ২০২২
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো : ইন্দোনেশিয়ায় (Indonesia) ফুটবল ম্যাচের পর পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭৪। সে দেশের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখা হবে সে দেশের ফুটবল লিগ। সেই সঙ্গে যে ক্লাবের সমর্থকরা অশান্তি শুরু করেছিল, তাদের ঘরের মাঠে ম্যাচ আয়োজন করার অনুমতি দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যেই পুলিসি তদন্তের পাশাপাশি আলাদা করে তদন্ত শুর করেছে ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (Indonesian Football Association)। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মর্মান্তিক ঘটনার বিশদ রিপোর্ট তলব করা হয়েছে ফিফার তরফ থেকে। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর ফিফা সভাপতি (FIFA President) জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও (Gianni Infantino) মুখ খুলেছেন। তাঁর মতে এটা ফুটবলের ইতিহাসে 'কালো দিন'।
জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, "ইন্দোনেশিয়ায় একটা ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা সবার সামনে এসেছে সেটা আমাদের স্তম্ভিত করে দিয়েছে। পার্সেবায়া সুরাবায়া এবং আরেমা ফুটবল ক্লাবের মধ্যে ম্যাচে এমন ঘটনা ঘটতে পারে ভাবতেই পারছি না। বিশ্ব ফুটবলকে কেন্দ্র করে যত খারাপ ঘটনা ঘটেছে, এটা সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল। আমার মতে এটা বিশ্ব ফুটবলের 'কালো দিন'।" তিনি আরও বলেছেন, "এই মর্মান্তিক ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রইল। এই মুহূর্তে সবাইকে একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে। ইন্দোনেশিয়া সরকার, এএফসি (Asian Football Confederation), ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সবাইকে এগিয়ে এসে কাজ করতে হবে।'
এ দিকে ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল নিয়ামক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত এক সপ্তাহের জন্য এই লিগের সমস্ত ম্যাচ বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে সমর্থকদের আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন সংস্থার প্রধান। তিনি বলেছেন, "আগামী এক বছর অভিযুক্ত ক্লাব আরেমা এফসির ঘরের মাঠে আরও কোনও ম্যাচ আয়োজন করা হবে না। ফুটবলের মানচিত্রে ইন্দোনেশিয়ার মুখ পুড়িয়েছে সমর্থকরা।"
ঘটনার পুলিসি তদন্ত চললেও আলাদা ভাবে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল সংস্থা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ফিফার তরফ থেকে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হয়েছে ইন্দোনেশিয়া ফুটবল সংস্থার সঙ্গে। কী ভাবে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল, সেটা জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে ম্যাচের রেফারিদেরও শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে।
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:
ফিফার নিয়মে উল্লেখ করা হয়েছে,কোনও পরিস্থিতিতেই জনতার উপর কাঁদানে গ্যাস বা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু ঝামেলা রুখতে পুলিস সেই পন্থা অবলম্বন করেছিল। তাই স্থানীয় পুলিসের বিরুদ্ধে ফিফার নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। উত্তেজিত জনতাকে সামলাতে কেন কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহার করা হল? কেনই বা নির্দিষ্ট আসন সংখ্যার বেশি দর্শককে স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হল? কোনও প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেনি পূর্ব জাভা থানার পুলিস।
২০২৩ সালে ইন্দোনেশিয়ার মাটিতেই অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করা হবে। এশিয়ান কাপ আয়োজন করার জন্যও দাবি জানিয়েছে তারা। সেখানে খেলা দেখতে উপস্থিত জনতার নিরাপত্তা যদি সুরক্ষিত না থাকে, তাহলে মেগা টুর্নামেন্ট আয়োজন করার অনুমতি পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, ফুটবল ম্যাচ ঘিরে দর্শকদের হিংসাত্মক হয়ে ওঠার ঘটনা ইন্দোনেশিয়ায় নতুন নয়। আগেও বহুবার এই ভাবে সমস্যায় পড়েছেন ফুটবল দর্শকরা।