জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই লক্ষ্যেই এবার রাস্তায় নেমে গ্রামে গ্রামে জনসংযোগের চেষ্টায় শাসক দল। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই বার্তাই স্পষ্ট করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ২৫ এপ্রিল থেকে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করবে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের এই ক্যাম্পেনের নাম 'তৃণমূলের নব জোয়ার'। অভিষেক বলেন, 'সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন তো হবেই সেই সঙ্গে একধাপ এগিয়ে দিয়ে ৬০ হাজার গ্রামীণ বুথে কোথায়, কে প্রার্থী হবে তা জনসাধারণের মতামত থেকে ঠিক করবো। মানুষের পঞ্চায়েত গড়ার লক্ষ্যেই এই কর্মসূচি।'
প্রচলিত প্রথায় যেভাবে ভারতের রাজনীতি হয়, যখন প্রার্থী ঠিক হয় তখন বন্ধ ঘরে হয়। সেই ধারা ভাঙতে চলেছে মমতার দল। এমনটাই বার্তা অভিষেকের। তিনি বলেন, 'মানুষের মতামত নিয়ে মানুষের পঞ্চায়েত গড়তে চলেছি। যাঁকে দরকারে পাওয়া যাবে। তিনিই হবেন দলের পঞ্চায়েত প্রার্থী। পঞ্চায়েত শিড়দাঁড়া। তাই সেখানে কে প্রার্থী হবে তা মানুষের ঠিক করা উচিৎ। স্বজন পোষণ নয়, মানুষের স্বার্থে নিজেকে সমর্পণ করে কাজ করবে এমন প্রতিনিধি দাঁড় করানোই লক্ষ্য। তাই দুটি কর্মসূচি হবে- ১. জনসংযোগ যাত্রা, ২. গ্রাম বাংলার মতামত।'
পঞ্চায়েতের আগে কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত বলতে গিয়ে অভিষেক বলেন, 'টানা ২ মাস রাস্তায় থাকব। ২৪ তারিখ বিকেলে বাগডোগরা যাব। সেখান থেকে মদন মোহন মন্দিরে পুজো দেব। তারপর দিনহাটা থেকে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করে দু-মাসে সাগর বা কাকদ্বীপে শেষ করব। প্রতিদিন ৪-৫ জনসভা করব। ৬টায় ক্যাম্পে ফিরে জেলার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলব। প্রতিটা বুথ সভাপতিকেও ডাকা হবে সেই ক্যাম্পে। ৩ থেকে ৪ হাজার করে মানুষ থাকবে। তারপর গোপন ব্যালটে ভোট দেওয়া হবে। সেই প্রক্রিয়ার নাম গ্রাম বাংলার মতামত।' তাঁর বার্তা, রাজনীতির স্বার্থে উর্ধে উঠে আপনার জন্য কাজ করবে আগামী ৫ বছর এমন প্রতিনিধি খুঁজুন। পঞ্চায়েত ভোট যখনই হোক আমরা প্রস্তুত। পঞ্চায়েত পরিস্কার করার লক্ষ্যে মানুষ যাকে সার্টিফিকেট দেবে আমরা তাঁকেই পঞ্চায়েতে দাঁড় করাবো।