• মহিলাবান্ধব পঞ্চায়েত গড়ে দিল্লিতে পুরস্কৃত মানিকপাড়া
    বর্তমান | ২১ এপ্রিল ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: ‘মহিলা বান্ধব পঞ্চায়েত’ হিসেবে বাংলার একমাত্র ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত কেন্দ্রীয় পুরস্কার পেল। দিল্লিতে জাতীয় পঞ্চায়েত পুরস্কার সপ্তাহ-২০২৩ চলাকালীন এই পুরস্কার দেওয়া হয়। গত ১৭ এপ্রিল দিল্লিতে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিং, দপ্তরের তিন রাষ্ট্রমন্ত্রীও। ২১ এপ্রিল পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান চলবে। বৃহস্পতিবার মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সাফল্যের কথা সকলের সামনে তুলে ধরেন পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মহাশিস মাহাত। 

    তিনি দিল্লি থেকে ফেরার পথে ফোনে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত ঢেলে সাজানো হয়। ধীরে ধীরে মহিলা বান্ধব পঞ্চায়েত হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। প্রশাসন সর্বদা পাশে থাকায় এটা সম্ভব হয়েছে। এই পঞ্চায়েত এলাকায় আরও উন্নয়নের কাজ হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে পুরস্কার পাওয়া রাজ্যের কাছে গর্বের।

    প্রসঙ্গত, ঝাড়গ্রাম জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গ্রাম পঞ্চায়েত হল মানিকপাড়া। এই গ্রাম পঞ্চায়েত ৪৬.০৮ বর্গকিমি এলাকাজুড়ে অবস্থিত। মোট ১৫ টি গ্রাম সংসদ নিয়ে গঠিত এই পঞ্চায়েত। এখানে প্রায় ৪৬০৩টি পরিবারের বসবাস। পঞ্চায়েতের ১৫ জন নির্বাচিত প্রতিনিধির মধ্যে রয়েছেন ৫০ শতাংশের বেশি মহিলা। 

    কীভাবে ‘মহিলা বান্ধব পঞ্চায়েত’ হিসেবে গড়ে উঠল মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত। জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, এই পঞ্চায়েত এলাকায় ৯৯ শতাংশ দরিদ্র মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে  বাণিজ্যিক বিতরণ ১০০ শতাংশ সুনিশ্চিত করেছে পঞ্চায়েত। মহিলা ও নাবালিকাদের কম্পিউটার শিক্ষা, আত্মরক্ষায় নিজেদের দক্ষতার পাশাপাশি ব্যবসা ও বাণিজ্যিক দক্ষতার পাঠ দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে লিঙ্গ বৈষম্য থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছে পঞ্চায়েত। এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নিয়মিত বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, উচ্চশিক্ষা, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে মহিলাদের সচেতন করা হয়। একইসঙ্গে পঞ্চায়েত এলাকার মহিলাদের আর্থিক লেনদেন ব্যাঙ্কিং পরিষেবার মধ্যে সংযুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

    পঞ্চায়েতের এক সদস্য বলেন, বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দূর করতে নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ে নিয়মিত আলোচনা করা হয়। মহিলা প্রধান পরিবারগুলিকে অর্থ উপার্জন ও তাঁদের সামাজিক সুরক্ষার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। 

    ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বরাবর মহিলাদের পাশে রয়েছেন। মহিলাদের উন্নয়নে নানা প্রকল্প চালু করেছেন। আমাদের জেলার পঞ্চায়েত পুরস্কার পাওয়ায় ঝাড়গ্রামবাসী হিসেবে খুবই গর্ব হচ্ছে। জেলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এভাবে এগিয়ে আসুক। জেলা প্রশাসন সর্বক্ষণ পাশে থাকবে।
  • Link to this news (বর্তমান)