• Peru Fire Incident : দক্ষিণ পেরুর সোনার খনিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, আগুনে ঝলসে ২৭ শ্রমিকের মৃত্যু
    এই সময় | ০৮ মে ২০২৩
  • সোনার খনিতে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মর্মান্তিক পরিণতি। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হল অন্ততপক্ষে ২৭ জন খনি শ্রমিকের। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ পেরুর আরেকুইপা অঞ্চলের একটি সোনার খনিতে। গত কয়েক দশকে এটিই দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে সবচেয়ে বড় খনি দুর্ঘটনা বলে জানা গেছে।

    পেরুর একটি সাংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে যে শর্ট সার্কিট থেকে হঠাৎই সোনার খনিটিতে আগুন লেগে যায়। নিমিষের মধ্যে আগুন চারদিক ছড়িয়ে পড়ে। খনি মুখ থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। অগ্নিকাণ্ডের সময় শ্রমিকরা সেখানে কাজ করছিল।

    এদিকে, সোনার খনিতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকল ও উদ্ধারকারী দল। চলে আগুন নেভানোর কাজ। সেই সঙ্গে চলে উদ্ধার কাজ। খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে ২৭ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বলে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও ১৭৫ জন শ্রমিককে। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা পেরুর স্থানীয় প্রশাসনের।

    দক্ষিণ পেরুর আরেকুইপা অঞ্চলের সোনার খনিতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে শ্রমিকদের পরিবার। প্রিয়জনদেক খুঁজতে দেখা যায় পরিবারের লোকজনকে। মৃতদের পরিবারের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে সোনার খনির আশপাশের অঞ্চল। প্রশাসনের তরফে শর্ট সার্কিটের ফলে অগ্নিকাণ্ডের কথা বলা হলেও, তা মানতে নারাজ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি। দুর্ঘটনায় মৃত এক খনি শ্রমিকের ভাই জানিয়েছেন, খনিতে অগ্নিকাণ্ডের আগে এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তারপরেই খনি মুখ থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায় বলে জানিয়েছেন তিনি।

    তবে, অগ্নিকাণ্ডের সময় খনিতে মোট কতজন শ্রমিক ছিলেন, তা কিন্তু নিশ্চিত করে নি স্থানীয় প্রশাসন। মৃত শ্রমিকরা মাটি থেকে ১০০ মিটার নিচে কাজ করছিল বলে জানা গেছে। মৃত শ্রমিকদের মধ্যে বেশিরভাগ শ্বাসরোধ ও পুড়ে মারা গেছেন বলে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

    পেরুর অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে সোনার খনিগুলি। দেশের মোট জিডিপি আট শতাংশের বেশি আসে এখান থেকে। গত বছর পেরুর একাধিক খনিতে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ২০২০ সালে পেরুর আরেকুইপায় একটি খনিতে ধসের ঘটনা ঘটে। ধসে আটকে পড়ে চারজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ পেরুর আরেকুইপা অঞ্চলের সোনার খনিটি ব্যবহারের উপযোগী করতে ৩০ জনের একটি বিশেষজ্ঞ দল খনি অঞ্চলে গেছে বলে খবর।
  • Link to this news (এই সময়)