• ‘আমাদের বক্তব্য নয়...ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি’, কুড়মি নিয়ে দলীয় বিধায়কের বক্তব্যে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর
    এই সময় | ০৮ মে ২০২৩
  • কুড়মি সম্প্রদায়কে নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি ‘মুখ ফসকে’ কিছু মন্তব্য করেছেন। সেই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, অজিত মাইতি যেটা বলেছে সেটা নিয়ে আমার‌ও খুব খারাপ লেগেছে। আমি ওঁকে ফোন করেছিলাম। ওঁর বক্তব্য আমাদের বক্তব্য নয়। আমরা কুড়মি সম্প্রদায়, আদিবাসীদের খুব ভালোবাসি। যদি অজিত মাইতির কথায় কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

    সম্প্রতি কুড়মি সম্প্রদায়ের একাংশকে ‘খলিস্তানি’দের সঙ্গে তুলনা করেন তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি। তাঁর মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় কুড়মি সম্প্রদায়ের মধ্যে। নতুন করে এই ইস্যুতে আন্দোলনের সম্ভাবনা তৈরি হতে শুরু করে। এমনকি রবিবার তৃণমূলের একটি সভা থেকেও নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছেন বিধায়ক অজিত মাইতি। পুরো বিষয়টি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা সারি -সারনা ধর্ম নিয়ে, তাঁদের পাট্টা নিয়ে আইন করে দিয়েছি। আমি আদিবাসীদের খুব ভালোবাসি। ওঁরা আমাদের ভাই-বোন। আমি মাহাতো-কুড়মি ভাইদেরও ভালোবাসি। তাঁদের দাবি মতো আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠিও লিখেছি। অজিত মাইতি যদি কিছু বলে থাকে বা তাঁর বক্তব্য বিকৃত করে থাকে বিজেপি, আমি বলবো ওই বক্তব্যটা আমাদের বক্তব্য নয়। আমরা কুড়মিদের যথাযোগ্য সম্মান করি।” এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তৃণমূলের বিধায়কের মন্তব্যে মাহাতোরা দুঃখ পেয়ে থাকলে আমি তাঁদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এটা নিয়ে রাজনীতি করার জায়গা নেই।”

    যদিও রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের তরফেই বিধায়কের মন্তব্যকে খণ্ডন করা হয়। একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা নিন্দা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতির মন্তব্য একান্তই ব্যক্তিগত। দল কোনওভাবেই সমর্থন করে না এই বক্তব্যকে। অবিলম্বে অজিত মাইতির প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

    প্রসঙ্গত, দু’দিন আগেই তৃণমূলের একটি সভা থেকে অজিত মাইতিকে বলতে শোনা যায়, "কিছু কুড়মি নেতা স্বঘোষিত খালিস্তানি নেতাদের মতো কুড়মি ভাইবোনেদের ভুল বুঝিয়ে ... আমার ধারণা বিজেপি তাদের উস্কানি দিয়ে, সিপিএম তাদের উস্কানি দিয়ে দিল্লিতে কুড়মি ভাইদের আন্দোলন করতে দিচ্ছে না, যা করার এই বাংলাকে অশান্ত করার চক্রান্ত চলছে।" তাঁর এই বক্তব্যের পড়েই ক্ষোভে ফেটে পড়ে কুড়মি সমাজ। জঙ্গলমহল জুড়ে এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করতে শোনা যায় একাধিক কুড়মি সম্প্রদায়ের নেতাদের।
  • Link to this news (এই সময়)