• পানীয় জলের সমস্যা, সঙ্গে দোসর ভগ্ন রাস্তা! ভোট বয়কটের ডাক ছাতনায়
    এই সময় | ০৮ মে ২০২৩
  • West Bengal News : গ্রামের কঙ্কালসার কাঁচা রাস্তা হয়নি পাকা। সঙ্গে জুড়ছে পানীয় জলের মহাসংকট। বারংবার প্রশাসনকে জানিয়েও হয়নি সুরাহা। তাই এবার রীতিমতো পোস্টারিং করে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। ভোট আসে ভোট যায়, প্রতিশ্রুতি প্রতিশ্রুতি হয়েই রয়ে যায়।

    একটা নির্বাচন মানেই ঝাঁ চকচকে বিলাসবহুল গাড়ি থেকে নেমে প্রার্থীদের ভোট প্রার্থনা, মানুষকে বিভিন্ন কিছু পাইয়ে দেওয়ার টোপ, ভোট মিটে গেলেই 'কে কার'! কেই বা মনে রাখে এই ছা-পোষা সহজ সরল মানুষগুলোর দাবিদাওয়াগুলোকে। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল বাঁকুড়া জেলার ছাতনা ব্লকের হানুলিয়া ও মাঁকা গ্রাম।

    বারবার একাধিক স্তরে অভিযোগ জানালেও গ্রামের চলাচলের অযোগ্য কাঁচা রাস্তা হয়নি পাকা। নদী পারাপারের জন্য নেই কোনও সেতুও, পুরো গ্রাম জুড়ে রয়েছে পানীয় জলের সংকট। অভিযোগের ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান হওয়া মুশকিল দেখে রীতিমতো পোস্টারিং করে ভোট বয়কটের ডাক দিলেন গ্রামবাসীরা।

    বাঁকুড়া জেলার ছাতনা ব্লকের অন্তর্গত এই দুটি গ্রাম হানুলিয়া ও মাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলে গিয়েছে দ্বারকেশ্বর নদী। গ্রামবাসীদের নিত্যনৈমিত্তিক যে কোনও কাজের জন্যই ছুটতে হয় কেঞ্জাকুড়া নামক গ্রামে। গ্রাম থেকে দ্বারকেশ্বর নদী পেরিয়ে যেখানে আধ ঘন্টার কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যেতে পারে কেঞ্জাকুড়া গ্রামে, সেই নদী পথে সেতু না থাকায় ঘুর পথে দ্বারকেশ্বর নদের উপর অবস্থিত সঞ্জীবন ঘাট দিয়ে যেতে সময় লাগে প্রায় দেড় ঘন্টা।

    অপরদিকে গ্রাম জুড়ে রয়েছে তীব্র পানীয় জলের কষ্ট। নিজেদের এই ধরনের সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের শামিল করার সিদ্ধান্ত না নিয়ে ভোট বয়কটের ডাক দিলেন গ্রামবাসীরা। আন্দোলনকারী গ্রামবাসী ময়না সেন বলেন, "আমরা অনেকবার সব জায়গায় ঘুরে দেখে নিয়েছি যে কাজের কাজ কিছুই হবে না। তাই এবার আমরা এখানে কেউই ভোট দেব না।"

    বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। BJP-র দাবি ভোট বয়কটের সিদ্ধান্তকে সমর্থন না জানালেও, গ্রামবাসীদের দাবিদাওয়া গুলো যথাযথ। BJP নেতা জীবন মণ্ডল বলেন, "

    ভোট বয়কটের ডাককে আমরা সমর্থন করছি না । কিন্তু এটাও ঠিক যে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত ওই দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য কোনও কাজ করেনি।" অপরদিকে শাসক তৃণমূলের দাবি, ওই গ্রামের রাস্তাটি দ্রুত পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় পাকা করে দেওয়া হবে। পানীয় জলের সমস্যাটিরও দ্রুত সমাধান হবে। তৃণমূল নেতা শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, "ওই গ্রামে যে ভোট বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে তা আমরা শুনেছি। কিছু সমস্যা ছিল, কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি সব মিটিয়ে দেওয়া হবে। গ্রামের মানুষ তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন।"
  • Link to this news (এই সময়)