• Indo Russia Relations: এদেশের ব্যাঙ্কে জমা কোটি কোটি টাকা! ভারতই এখন পুতিনের ‘সুইস ব্যাঙ্ক’
    এই সময় | ০৯ মে ২০২৩
  • ভারতের ব্য়াঙ্কে কোটি কোটি টাকা জমা রয়েছে রাশিয়া। যদিও সেই টাকা ব্যবহার করতে পারছে না মস্কো। এদেশে এসে এই সমস্যার কথা জানালেন রুশ বিদেশমন্ত্রী সর্গেই লেভরভ।

    গত সপ্তাহে গোয়ায় সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানেশন বা SCO-র বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হয়। সেখানে যোগ দেন রুশ বিদেশমন্ত্রী। বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে লেভরভ বলেন, “এটা একটা সমস্যা। আমাদের এর উপায় বের করতে হবে। ভারতের ব্যাঙ্কে জমা থাকা টাকা ব্যবহার করতে চায় মস্কো। কিন্তু এর জন্য ওই টাকাকে অন্য মুদ্রায় বদলাতে হবে।” এই নিয়ে আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে ভারতীয় সামগ্রীর রফতানি রাশিয়ায় কমেছে। শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের প্রথম ১১ মাসে রাশিয়ায় ২.৮ বিলিয়ান মার্কিন ডলারের সামগ্রী রাশিয়ায় রফতানি করেছে নয়াদিল্লি। রফতানির পরিমাণ ১১% কমেছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

    অন্যদিকে, এই অর্থবর্ষে রাশিয়া থেকে আমদানির পরিমাণ প্রায় পাঁচ গুণ বাড়িয়েছে ভারত। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের প্রথম ১১ মাসে মস্কো থেকে ৪১.৫৬ বিলিয়ান সামগ্রী আমদানি করেছে ভারত। তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক।

    গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়। এর পরই মস্কোর উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা-সহ একাধিক পশ্চিমী দেশ। এই অবস্থায় অর্থনীতি বাঁচাতে কম দামে ভারতকে খনিজ তেল বিক্রির প্রস্তাব দেয় রাশিয়া। সেই প্রস্তাব শিকার করে নেয় নয়াদিল্লি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর জেরেই গত কয়েক মাসে রাশিয়া থেকে আমদানির পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।

    একটি রুশ সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে এপ্রিল পর্যন্ত রাশিয়া থেকে দিনে ১.৬৮ মিলিয়ন ব্য়ারল খনিজ তেল কিনেছে ভারত। এই পরিমাণ চলতি বছরে আরও বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ওই সংস্থা।

    প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রুশ ব্যাঙ্কগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় সুইফট মেসেজিং সিস্টেম বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর পরই ভারতকে জাতীয় মুদ্রায় বাণিজ্য করতে উৎসাহিত করেছিল মস্কো।

    কিন্তু গত কয়েক মাস ধরেই রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক কমাতে ভারতকে ক্রমাগত চাপ দিয়ে চলেছে আমেরিকা। সেই চাপ উপেক্ষা করেই মস্কোর থেকে খনিজ তেল কিনেছে নয়াদিল্লি। যদিও ভারতীয় মুদ্রায় রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করতে পারেনি ভারত।
  • Link to this news (এই সময়)