• দিদি উদারতা দেখালেই একমাত্র দলে ফিরবেন জয়ী বিক্ষুব্ধ প্রার্থী
    এই সময় | ১২ মে ২০২৩
  • এই সময়: একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদারতা দেখালেই দলের বিক্ষুব্ধরা নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে ভোটে জেতার পরেও তৃণমূলে ফিরে আসতে পারেন বলে মনে করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যথা তৃণমূলের দরজা চিরকাল এই নেতাদের জন্য বন্ধ থাকবে বলে ফের বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কোনও ভাবে যদি এঁরা দলেও ফেরেন, তা হলেও তাঁদের কোনও পদ দেওয়া হবে না বলে বৃহস্পতিবার ইঙ্গিত দিয়েছেন অভিষেক। বীরভূমের নানুরে এ দিন তৃণমূলের বুথ কর্মীদের নিয়ে অধিবেশনে তিনি বলেন, '২০২১ সালে অনেকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।

    যাঁরা ফিরে এসেছেন, আমি বলেছিলাম প্রায়শ্চিত্ত করে ঢোকাব। তাঁরা প্রায়শ্চিত্ত করছেন কি করছেন না? কেউ এসে সরাসরি বড় পদ পেয়েছেন? এটাই নতুন তৃণমূল।' অভিষেক নির্দিষ্ট ভাবে কোনও নেতার নাম না-করলেও অর্জুন সিং, সব্যসাচী দত্ত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ যাঁরা বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তাঁরা ফের জোড়াফুলে ফিরলেও বড় কোনও সাংগঠনিক দায়িত্ব পাননি বলেই তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য।

    তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট না-পেয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে কেউ জিতে গেলে তাঁর উদ্দেশে অভিষেকের আগাম বার্তা, 'আপনি নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে জিততেই পারেন, আপনার প্রতি শুভেচ্ছা রইল। কিন্তু যে আম-জাম প্রতীকে জয়ী হয়েছেন, সেই প্রতীক আপনাকে বইতে হবে। তৃণমূলের দরজা আমি যতদিন সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছি, বন্ধ থাকবে।' এরই পাশাপাশি জোড়াফুল প্রতীকে জয়ী হয়ে যাঁরা পঞ্চায়েতে কাজ করবেন না, তাঁদের প্রয়োজনে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও এ দিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক।

    তিনি বলেন, 'তিন মাস অন্তর কাজের পর্যালোচনা করব। তিন মাসে যিনি মানুষের কাজ করবেন, তিনি পদে থাকবেন। যদি দেখি কেউ কাজ করেননি অথচ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য পঞ্চায়েতের প্রধান হয়ে বসে আছেন, তাঁকে পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দল থেকে বহিষ্কার করার দায়িত্ব আমার। মানুষের জন্য কাজ করার লাইসেন্স তিন মাসের জন্য দেবে দল।

    ভালো কাজ করলে লাইসেন্স রিনিউ হবে।' এ দিন অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা ২ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে বলে জোড়াফুলের তরফে জানানো হয়েছে। ১৭ দিনের এই যাত্রায় জনসভা ও বুথ কর্মীদের নিয়ে অধিবেশন মিলিয়ে ৫০ এর বেশি সভা করেছেন অভিষেক। এ ছাড়া একশো দিনের কাজে টাকার দাবিতে সারা রাজ্য ১ কোটি চিঠি সংগ্রহ করছে তৃণমূল। এই চিঠি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে পাঠানো হবে। এ দিন রাত পর্যন্ত ১০ লক্ষের বেশি চিঠি বিভিন্ন জেলা থেকে নেতৃত্বের কাছে এসেছে বলে নানুরে অভিষেক উল্লেখ করেন। যদিও বীরভূম জেলায় মাত্র ১৪ হাজার চিঠি সংগ্রহ হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
  • Link to this news (এই সময়)