• দুর্নীতি ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কাঁটা উপড়েই পঞ্চায়েতে লড়বে তৃণমূল: অভিষেক
    বর্তমান | ১৩ মে ২০২৩
  • রাহুল চক্রবর্তী, নানুর: দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লে রেয়াত নয়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত নয়। এই ফর্মুলাতেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠনে ‘নবজোয়ার’ আনতে চাইছে তৃণমূল।  দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বার্তা, ‘ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে যিনি সাধারণ মানুষের স্বার্থ দেখবেন, তিনিই হবেন তৃণমূলের যোগ্য সৈনিক।’

    ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রা। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ নিয়ে যাত্রায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন অভিষেক। রাজ্যের আটটি জেলায় কর্মসূচি শেষ করে এগিয়ে চলেছে জনসংযোগ যাত্রা। ১৭ দিনে ২০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া হয়েছে। যাত্রাকে অভিনন্দন জানিয়ে তৃণমূল নেত্রীর বার্তা, বাংলার মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করছে তৃণমূল। তাই চলতি কর্মসূচিতে তৃণমূলের একটাই লক্ষ্য, দুর্নীতি ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কাঁটা উপড়ে ফেলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলকে সংগঠিত করা। সেই সূত্রে নানুরে দলের অধিবেশনে অভিষেককে বলতে শোনা যায়, ‘পাঁচ বছরের জন্য পঞ্চায়েত প্রধানের ক্ষমতা ধরে রাখবেন, কিন্তু মানুষের কাজ করবেন না, আর আপনার নামে অভিযোগ উঠবে, এটা আর চলবে না। ২০১১ সালের পর দলে অনেক বেনোজল ঢুকেছে। সিপিএম থেকে রাতারাতি তৃণমূলে চলে এসেছেন, আবার আরএসপি নেতা তৃণমূলে সর্বেসর্বা হয়ে গিয়েছেন পঞ্চায়েতে। সেই দিন এবার শেষ। এবার আসবে নবজোয়ার।’ 

    শুক্রবার বীরভূম জেলা নেতৃত্বর সঙ্গে বৈঠকে অভিষেক বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে দেন। ওই বৈঠকে জেলা কোর কমিটির সদস্য এবং ব্লক সভাপতিদের ডাকা হয়েছিল। সূত্রের খবর, একাধিক ব্লকে দলের কর্মসূচি যে সঠিকভাবে পালন হচ্ছে না, সেই খবর অভিষেকের কাছে পৌঁছয়। তাই নির্দিষ্টভাবে ব্লক ও অঞ্চলের নাম উল্লেখ করে তিনি কর্মসূচি বাড়ানো এবং জনসংযোগ বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন। নানুর, ময়ূরেশ্বর, মহম্মদবাজার প্রভৃতি এলাকা রয়েছে সেই তালিকায়। অভিষেক জানিয়ে দেন, বিধায়কের সঙ্গে ব্লক সভাপতির ঝামেলা কোনও অবস্থায় বরদাস্ত করা হবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের কাজ করতে হবে। যেখানে সমস্যা থাকবে, তা কোর কমিটি আলোচনা করে মেটাবে। বীরভূম জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, কোথাও কোনও সমস্যা হলে সতর্ক করা হবে সংশ্লিষ্ট নেতাকে।

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে বেশ কিছু জায়গায় দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই অভিযোগের জেরে ইতিমধ্যে পাঁচজন পঞ্চায়েত প্রধান ইস্তফা দিয়েছেন। বীরভূমের বৈঠকে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানের দুর্নীতি প্রসঙ্গ ওঠে। ‌তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ দলের তরফে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর। কেরিম বলেছেন, দল আমার কাছে কিছু জানতে চাইলে আমি তথ্য সহ তা হাজির করব।
  • Link to this news (বর্তমান)