• Counter Chinese Influence: নতুন বিপদ? কেন হঠাৎ চিনের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কোমর বাঁধছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান?
    ২৪ ঘন্টা | ০৩ অক্টোবর ২০২২
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চিন যে ক্রমশ এক ভয়ংকর শক্তি হিসেবে উঠে আসছে এ নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে কারও কোনও দ্বিমত নেই। সেই পরিস্থিতিতে চিনকে মোকাবিলার জন্য বিশ্বের আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নানা সময়ে নানা সমীকরণ রচিত হয়েছে। আবারও সেই সমীকরণ তৈরি হয়ে ওঠার আভাস দেখা গেল। চিনের মোকাবিলায় নিজেদের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে একমত হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে এক সমঝোতাতেও এলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন শনিবারই বলেছিলেন, তাইওয়ান প্রণালী এবং সন্নিহিত অঞ্চলে চিনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী আচরণে আমরা উদ্বিগ্ন। বোঝাই যাচ্ছে, সেই উদ্বেগ কমানোরই একটা সম্মিলিত পদক্ষেপ এটি।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনই প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে অস্ট্রেলিয়া  জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের স্বাগত জানান। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মারলেস বলেন, আমরা সকলে চাই বিশ্বব্যাপী যে সাধারণ সুরক্ষাসংক্রান্ত নিয়ম রয়েছে তা সকলে মেনে চলুক। কিন্তু ইন্দো-প্যাসিফিকে একটা উত্তেজনা লক্ষ করা যাচ্ছে। কারণ, চিন তার চারপাশের বিশ্বকে এমন একটা চোখে দেখছে, যা আগে কেউ সেভাবে দেখেনি। আর সেটাই অস্বস্তির কারণ।

    আরও পড়ুন:

    এই অঞ্চলে চিনা প্রভাব মোকাবিলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। এর প্রেক্ষিতে ওয়াশিংটন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশগুলির জন্য ৮১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্যাকেজও ঘোষণা করেছে। এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র তার কূটনৈতিক উপস্থিতি জোরদারের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এমন পদক্ষেপ করেছে বলেই বলছে সংশ্লিষ্ট মহল। সম্প্রতি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফর করে গিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। আর তার পরই সেখানে নানা উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে কাম্য নয়। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)