বুধবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ— ‘লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতে অল্ডারম্যান নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়ার অর্থ হল, নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত একটি সংস্থার স্থিতিশীলতা নষ্ট করার সুযোগ দেওয়া।’’ সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে কেন্দ্রের আইনজীবী তথা অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল সঞ্জয় জৈন জানান জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লির প্রশাসনিক আইন (জিএনসিটিডি)-এর ৬৯তম সংশোধনী অনুযায়ী এই ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে ক্ষমতার ভরকেন্দ্র মুখ্যমন্ত্রী হবেন না কি লেফটেন্যান্ট গভর্নর, তা নিয়ে বহু দিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। গত কয়েক বছরে একাধিক বার মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়ালের সঙ্গে কেন্দ্র নিযুক্ত লেফটেন্যান্ট গভর্নরদের ক্ষমতার সংঘাত ঘটেছে একাধিক বার। কিন্তু গত ১১ মে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, দিল্লির প্রশাসনিক সমস্ত ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতেই থাকবে। শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্ত দিল্লির আপ সরকারের কাছে স্বস্তিদায়ক হলেও চাপ বাড়িয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের উপর। এ বার কি দিল্লি পুরসভাতেও ‘নিয়ন্ত্রণ’ হারাতে চলেছেন কেন্দ্রের প্রতিনিধি লেফটেন্যান্ট গভর্নর?