• বঙ্গ–বিজেপিকে কেন্দ্রীয় নির্ভরতা কমাতে নির্দেশ, কেন এমন বার্তা নয়াদিল্লির?‌
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ মে ২০২৩
  • কর্ণাটকের ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। আর এই ফলাফল থেকে শিক্ষা নিয়ে বঙ্গ– বিজেপির অযথা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপর নির্ভরতা কমাতে নির্দেশ দেওয়া হল। রাজ্যের সংগঠনের যাবতীয় ইস্যুতেই কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখ চেয়ে থাকলে চলবে না। নিজেদেরই উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। এবার বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বকে এমনই বার্তা পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা বলে সূত্রের খবর। এমনকী আসন্ন পঞ্চায়েত এবং আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুধুই মোদী কেন্দ্রিক না করে দলের স্থানীয় নেতাদের সমান গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।

    এদিকে বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা এখন চারজন। তাঁরা হলেন— সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে, আশা লাকড়া এবং অমিত মালব্য। তবে আর এক কেন্দ্রীয় নেতা সতীশ ধন্দকে রাজ্য বিজেপির যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদকের (সংগঠন) দায়িত্ব দিয়ে বাংলায় পাঠিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। এই দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা রাজ্য বিজেপির সংগঠন নিয়ে ক্রমশ উৎসাহ হারাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। বঙ্গ বিজেপি নেতাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকার প্রবণতা ভাঙতে চাইছে দল। কিন্তু সেটা কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বাংলার সংগঠনও গড়ে উঠছে না। এমনকী কোনও সিদ্ধান্ত তাঁরা নিতে পারছে না। যার ফলে দলের ক্ষতি হচ্ছে।

    আর কী জানা যাচ্ছে?‌ নয়াদিল্লির বার্তা অনুযায়ী, নির্বাচনের প্রচারে রাজ্য নেতৃত্বের অতিরিক্ত মোদী নির্ভরতা স্বাবলম্বী করতে পারছে না সংগঠনকে। আর রাজ্য নেতৃত্বের একটি বড় অংশ মনে করছেন যে, প্রচারের শেষ লগ্নে মোদীজি তো আসবেনই। কিন্তু বাংলার মানুষ স্থানীয় সংগঠন দেখতে পারছেন না বলে বিশ্বাসও করতে পারছেন না। এইসব কারণে অনেক সময়ই স্থানীয় নেতারা গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছেন। দলের একেবারে নিচুতলায় তার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে রিপোর্ট গিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে।

    ঠিক কী বলছে বিজেপি?‌ বিজেপি সূত্রে খবর, ‘লোকসভা প্রবাস কর্মসূচি’ সরাসরি খতিয়ে দেখতে বাংলা–সহ অন্যান্য রাজ্যে অমিত শাহ এবং জেপি নড্ডা নিয়মিত যাবেন। তবে মূল কাজটা করতে হবে রাজ্য নেতৃত্বকেই। এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপির অন্যতম সহ–সভাপতি তথা সাংসদ জগন্নাথ সরকার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘দলের নীচুস্তরের সংগঠনকে শক্তিশালী করা অবশ্যই প্রয়োজন। তাই স্থানীয় নেতাদের গুরুত্ব দিতেই হবে। কারণ অনেক সময়ই দেখা গিয়েছে যে, উপর থেকে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে ভুলভ্রান্তির আশঙ্কা থেকে যায়।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)