কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া, দক্ষিণ দিনাজপুরের ডালখোলা-সহ একাধিক জায়গায় রামনবমীর মিছিলকে ঘিরে হিংসার ঘটনায় তদন্তের ভার এনআইএ- কে দিয়েছিল। তারা ইতিমধ্যেই ছ’টি এফআইআর দায়ের করেছে। আজ রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি দাবি তুলেছেন, গ্রীষ্মকালীন ছুটির পরে মামলার শুনানি হলে সুপ্রিম কোর্ট আপাতত এনআইএ গ্রেফতারির মতো দমনমূলক পদক্ষেপ করবে না বলে নির্দেশ দিক। এনআইএ-র তরফে সলিসিটর জেনারেল প্রশ্ন তুলেছেন, এনআইএ কোনও পদক্ষেপ করলেও রাজ্য সরকার কেন আপত্তি তুলছে! প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ও প্রশ্ন তুলেছেন, এনআইএ যদি দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে, রাজ্য সরকারের সমস্যা কোথায়! মনু সিঙ্ঘভি জানান, এনআইএ রাজ্য পুলিশের অফিসারদের সমন পাঠাচ্ছে। শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি।
শুভেন্দু কলকাতা হাই কোর্টে অভিযোগ তুলেছিলেন, রামনবমীর হিংসায় একাধিক বোমা ছোড়া হয়। বোমা বিস্ফোরণে পুলিশ কর্মীরাও আহত হন। হাই কোর্ট এনআইএ-কে তদন্তভার দেওয়ার রায়ে বলেছিল, রাজ্য পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবেই কোনও বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করেনি। আজ সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতিও তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাজ্যের তরফে মনু সিঙ্ঘভি যুক্তি দেন, বিস্ফোরক আইনে মামলা করার প্রশ্ন নেই। কারণ, কোনও বিস্ফোরক বা বোমা ছিল না। দেশি বোমার জন্য বিস্ফোরক আইনে মামলা হয় না। দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন ছাড়া হিংসার সাধারণ মামলায় এনআইএ আইন প্রয়োগ করা যায় না। রাজ্য সরকার এনআইএ তদন্তে স্থগিতাদেশ চাওয়ায় শুভেন্দুর আইনজীবী পি এস পাটওয়ালিয়া তার বিরোধিতা করেন।