• কুন্তলের চিঠি মামলায় অভিষেককে তলব CBI-এর, আজ রাতেই কলকাতা ফিরছেন তৃণমূল সেনাপতি
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ মে ২০২৩
  • কুন্তল ঘোষের চিঠি কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল সিবিআই। আগামিকাল সকাল ১১টায় অভিষেককে নিজাম প্যালেসে যেতে বলা হয়েছে নোটিশে। এই আবহে আজ রাতেই নবজোয়ার স্থগিত রেখে কলকাতায় আসছেন অভিষেক। তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ২২ মে ফের সোনামুখী থেকে নবজোয়ার যাত্রা শুরু করবেন অভিষেক। উল্লেখ্য, গতকালই বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠির প্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি ও সিবিআই জেরা করতে পারবে বলে। পাশাপাশি অভিষেক এবং কুন্তলকে ২৫ লাখ টাকা করে জরিমানা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি।

    এর আগে কুন্তলের চিঠি কাণ্ডে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, অভিষেককে ইডি ও সিবিআই জেরা করতে পারবে। তবে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে ক্ষণিকের স্বস্তি পেয়েছিলেন অভিষেক। সেই মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরানো হয়েছিল। তবে এজলাস বদলালেও নির্দেশ একই থেকে যায়। এদিকে এর আগে এই মামলায় অভিষেককে রক্ষাকবচও দেননি বিচারপতি সিনহা। উল্লেখ্য, এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুক্ত হতেই মামলা থেকে অব্যহতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাঁর সেই আবেদন খারিজ হয়েছে। এদিকে জেরার নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে অভিষেকের আবেদন হাই কোর্টে খারিজ হওয়ায় তাঁকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানাও দিতে হবে বলে আজকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই জোড়া নির্দেশে বেশ চাপে পড়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের রায়তে কড়া ভাষায় বিচারপতি ভর্ৎসনা করেন অভিষেক এবং কুন্তলকে।

    এর আগে যুব তৃণমূলের সমাবেশে অভিষেক দাবি করেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম বলানোর জন্য ধৃতদের ওপর চাপ দিচ্ছে ইডি, সিবিআই। এরপরই কুন্তল ঘোষ প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের মাধ্যমে চিঠি দিয়ে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ জানান যে তাঁকে দিয়ে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছে ইডি, সিবিআই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, দ্রুত কুন্তল ও অভিষেককে জেরা করা উচিত তদন্তকারীদের। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যান অভিষেক। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারের বিষয়টি তুলে ধরেন অভিষেকের আইনজীবী। বলা হয়, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, তাতে অভিষেকের প্রতি তাঁর বিরূপ মনোভাব ফুটে উঠেছে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে সেই নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাটি সরানো হয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। সুপ্রিম নির্দেশিকার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে মামলার ফাইল চেয়ে পাঠায় কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির কার্যালয়। পরে সেই ফাইল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে পাঠানো হয়। তবে ক্ষণস্থায়ী থাকে অভিষেকের স্বস্তি। বিচারপতি সিনহাও ইডি, সিবিআই জেরার পক্ষে নির্দেশ দেন। এই আবহে চরম অস্বস্তিতে পড়ে ফের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন অভিষেক।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)