মাধ্যমিকে নজরকাড়া রেজাল্ট করে তাক লাগিয়ে দিল বর্ধমানের শুভম পাল। মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে সে। বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল স্কুলের ছাত্র শুভম। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। সংবাদ মাধ্যমের সামনে শুভম জানিয়েছে, মা ও বাবার অবদান আমার জীবনে সবথেকে বেশি। তাছাড়া শিক্ষকদের অবদান রয়েছে। আমার প্রিয় খেলোয়াড়া এমএস ধোনি। শুভমকে প্রশ্ন করা হয়েছিল কার গান শুনতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে তোমার? শুভমের চটজলদি উত্তর অরিজিৎ সিংয়ের গান শুনতে খুব ভালো লাগে।
একেবারে ঝকঝকে মেধাবী ছাত্র শুভম। বাবা মা দুজনেই চাকরি করেন। বাড়িতে দাদু ঠাকুমার কাছেই জীবনের প্রথম পাঠ নিয়েছিল শুভম। শুক্রবার শুভমের বাড়িতে যখন আনন্দের জোয়ার তখনও তাঁদের অবদানের কথা স্মরণ করলেন শুভমের মা।
সংবাদমাধ্যমে শুভম জানিয়েছেন, এতটা ভালো ফল হবে আশা করিনি। পড়াশোনা ছাড়া গল্পের বই পড়তে গান শুনতে ভালো লাগে। প্রিয় বিষয় বায়োলজি। খুব ভালো লাগে। আগামী দিনে চিকিৎসক হতে চাই। তারই প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু ডাক্তার হতে চাও কেন? শুভম বলে আসলে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। কতক্ষণ পড়াশোনা করতে? যতক্ষণ পড়াশোনা করতে ইচ্ছা করত সেটা করতাম। চার পাঁচজন প্রাইভেট টিউটর ছিলেন। মা বাবা যেভাবে সাহায্য করেছে সেটা বলে বোঝাতে পারব না। বাবা সমীর পাল, মা স্বপ্না পাল। বাবা একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। মা হাইস্কুলের শিক্ষিকা।
বরাবরের মেধাবী ছাত্র শুভম। শুভমের মা জানিয়েছেন, দাদুর কাছ থেকে ও চিকিৎসক হতে অনুপ্রেরণা পেয়েছে। প্রথম থেকেই বলত মা আমি গরিবদের জন্য কিছু করতে চাই। সেকারণেই ডাক্তার হতে চায়। গরিবের পাশে দাঁড়াতে চায় শুভম। তার মা জানিয়েছেন, জানেন ঠাকুমার কাছ থেকে প্রথম বর্ণ শিখেছিল শুভম।
বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায় শুভম। গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায়। দাদু ঠাকুমার কাছে শিখেছিল গরিব মানুষের পাশে কীভাবে দাঁড়াতে হয়। সেই শুভমই আজ মাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।