স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার শমসেরগঞ্জের ধুলিয়ান পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় একটি বাড়ি থেকে যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানীয় অনুপনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
যুবকের পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার বেলা পর্যন্ত মোন্তাজ দোতলার ঘর থেকে না বেরোনোয় তাঁকে ডাকতে যান যুবকের বাবা নুর সেলিম। কিন্তু উপরে উঠতে গিয়ে তিনি দেখেন ঘরের দরজার তালা। ছাদের চিলেকোঠার দরজাও ভাঙা। তিনি একছুটে ছাদে যান। তার পরেই চমকে ওঠেন। দেখেন ছেলে গলাকাটা অবস্থায় ছাদে পড়ে রয়েছেন। নুরের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। সবাই মিলে মোন্তাজকে নিয়ে যান প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু তত ক্ষণে সব শেষ।
মৃতের বাবার কথায়, ‘‘সকালে বাসার উপরে গিয়ে দেখি দরজা ভাঙা। ছাদে উঠতে গিয়ে দেখি গলাকাটা অবস্থায় ছেলে পড়ে আছে। কারও সঙ্গে ওর শত্রুতা ছিল বলে জানি না।’’
এই ঘটনা প্রসঙ্গে জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার ভিজি সতীশ পশুমার্থী বলেন, ‘‘দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় নিজের বাড়িতে যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।