• মাধ্যমিকে মালদহের জয়জয়কার মেধা তালিকায় স্থান ২১ ছাত্রছাত্রীর
    বর্তমান | ২০ মে ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ এবং সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ ও হরিশ্চন্দ্রপুর: মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় এবার মালদহের জয়জয়কার। জেলার ২১ জন ছাত্রছাত্রী এবার মেধা তালিকায় জায়গা পেয়েছে। যা মালদহের ক্ষেত্রে রেকর্ড বলে শিক্ষাবিদরা জানিয়েছেন। কৃতীদের সাফল্যে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের পাশাপাশি সর্বস্তরের জেলাবাসী গর্বিত। 

    রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র রিফাত হাসান সরকার ৬৯১ পেয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় হয়েছে। ইংলিশবাজার শহরের হায়দারপুরে রিফাতের বাড়ি। গণিত প্রিয় রিফাত ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায়। রিফাতের বাবা লিয়াকত আলি সরকার হাইস্কুলের শিক্ষক। পরীক্ষার আগে রিফাত দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা বাড়িতে পড়ত। অবসর সময়ে ওই কৃতী গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে। চিকিৎসকের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে বর্তমানে রিফাত শিলিগুড়িতে রয়েছে। 

    মিশন স্কুলেরই স্বরাজ পাল, অর্ঘদীপ সাহা, মাহির হাসান এবং মহম্মদ সারওয়ার ইমতিয়াজ ৬৯০ পেয়ে মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান দখল করেছে। স্বরাজ শহরের উত্তর বালুচর এলাকার বাসিন্দা। অর্ঘদীপের বাড়ি কোঠাবাড়ি এলাকায়। মাহির থাকে হায়দারপুর এলাকায়। সারওয়ার ঘোড়াপীর এলাকার বাসিন্দা। সারওয়ার চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করতে চায়। মাহির, অর্ঘদীপ এবং স্বরাজ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার পর চিকিৎসক হতে চায়।  

    চাঁচল রানি দাক্ষায়ণী গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী অনুশ্রেয়া দাস ৬৮৮ নম্বর পেয়ে পঞ্চম স্থান দখল করেছে। সে ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায়। অক্রূরমণি করোনেশন ইন্সটিটিউশনের শুভ্রজিৎ দেবও ৬৮৮ নম্বর পেয়ে পঞ্চম হয়েছে। শুভ্রজিতের বাড়ি ইংলিশবাজার শহরের ঘোড়াপীর নিউপার্ক এলাকায়। সে আপাতত বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায়। ওই স্কুলেরই ছাত্র সাগ্নিক বক্সি ৬৮৩ নম্বর পেয়ে দশম হয়েছে। পারিবারিক আর্থিক অনটনের মধ্যেও ওই কৃতীর নাম  প্রতিভাবলে মেধা তালিকায় জ্বলজ্বল করছে। রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের রেহান আবেদিন ও ঋদ্ধিশ দাস ৬৮৭ নম্বর পেয়ে ষষ্ঠ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। তারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে মেডিক্যাল শাখায় যেতে ইচ্ছুক। ওই স্কুলেরই শেখ আয়ান রশিদ এবং মহম্মদ ফাহিম আনিশ ৬৮৬ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে। আনিশদের দু‌ই সহপাঠী দেবকুমার মিশ্র এবং অরণ্য লালা ৬৮৫ পেয়ে অষ্টম স্থান দখল করেছে। মিশন স্কুলের ছাত্র অনুব্রত ঘোষ এবং অঙ্কিত মণ্ডল ৬৮৩ পেয়ে দশম স্থানে রয়েছে। ওই কৃতীদের সাফল্যও আগামীদিনের পরীক্ষার্থীদের পাথেয় হবে বলে শিক্ষাবিদরা মনে করছেন।  

    কালিয়াচকের মজমপুর হাইস্কুলের ছাত্র গোলাম মাসুদ বিশ্বাস ৬৮৬ নম্বর পেয়ে রাজ্যে মেধা তালিকায়  সপ্তম স্থান অধিকার করেছে। ইতিমধ্যে ওই কৃতী বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছে। কালিয়াচকের নাজিরপুর হাইস্কুলের মাহফুজ আলম এবারের মাধ্যমিকে ৬৮৩ নম্বর পেয়ে রাজ্যে দশম স্থান অধিকার করেছে। তার বাড়ি নয়াগ্রাম চনকিতলায়। ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে। সুজাপুর হাইস্কুলের তিন ছাত্রী এবারের মেধা তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। তাদের মধ্যে ফারহিন আক্তার এবং  আফিয়া আকিলা ৬৮৫ নম্বর পেয়ে অষ্টম স্থান এবং সুমায়া সুলতানা ৬৮৩ নম্বর পেয়ে দশম স্থান অধিকার করেছে। তিনজনই চিকিৎসক হতে চায়। সুজাপুরের মতো এলাকার বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিয়ে তিন ছাত্রী অভাবনীয় সাফল্য পাওয়ায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা।
  • Link to this news (বর্তমান)