• মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় নেই কলকাতা, জয়জয়কার জেলার ২০২৪ সালের মাধ্যমিক শুরু ২ ফেব্রুয়ারি
    বর্তমান | ২০ মে ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চার বছর পরে মাধ্যমিকের শীর্ষে এক ছাত্রী। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানি গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী দেবদত্তা মাঝি সাতশোর মধ্যে ৬৯৭ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালে কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির ছাত্রী সঞ্জীবনী দেবনাথ মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছিলেন। তবে দেবদত্তার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হল, দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর সঙ্গে তার ফারাক ৬ নম্বরের। আইআইটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চায় এই কৃতী কন্যা। বর্ধমান মিউনিসিপাল স্কুলের ছাত্র শুভম পাল এবং মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র রিফাত হাসান সরকার ৬৯১ নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় হয়েছে। দু’জনেরই লক্ষ্য চিকিৎসক হওয়া। প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানের দুই পড়ুয়া পূর্ব বর্ধমানের। রিফাতের বাড়ি মালদহের ইংলিশবাজারে। উত্তর ২৪ পরগনার দু’জন এবং মালদহের চারজন পড়ুয়া তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কৃতীদের অনেককে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৬ জুন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অভিভাবকদের সঙ্গে তাদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু টুইট করে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। 

    তবে কলকাতার একজনও পড়ুয়া স্থান পায়নি ১১৮ জনের (প্রথম দশ) মেধা তালিকায়। কলকাতার মতো শহরে অনেকেই পর্ষদের আওতাধীন স্কুলে না গিয়ে অন্য বোর্ড বেছে নেয়। তারপরও এই শহরে রয়েছে বহু ঐতিহ্যবাহী নামকরা স্কুল। মেধা তালিকায় সেই সব বিদ্যালয়ের কারও নাম না থাকায় বিস্মিত শিক্ষামহলের একাংশ। শুধু মালদহ জেলা থেকেই এবার মেধা তালিকায় ২১ জন স্থান পেয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ জনই রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র। রাজ্যের বিভিন্ন রামকৃষ্ণ মিশন থেকে ওই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ৩৪ জন পড়ুয়া। সেই জায়গায় রাজ্যের সব সরকারি স্কুলের  প্রতিনিধিত্ব ধরে রেখেছে একমাত্র শুভদীপ সরকার। বাঁকুড়া জেলা স্কুলের এই ছাত্র ষষ্ঠ হয়েছে। পাশের হারে শীর্ষে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা (৯৬.৮১ শতাংশ)। কালিম্পং (৯৪.১৩ শতাংশ) দ্বিতীয়, কলকাতা (৯৩.৭৫ শতাংশ) তৃতীয় স্থানে রয়েছে। বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রছাত্রীদের পাশের হার সাধারণ পড়ুয়াদের তুলনায় বেশি। 

    মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আরও জানিয়েছে, এ বছর পরীক্ষায় বসেছিল ৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ১০৫ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থী। কম্পার্টমেন্টাল এবং সিসি (কন্টিনিউয়িং ক্যান্ডিডেট) মিলিয়ে সংখ্যা ৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৩২১।  নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সার্বিক পাশের হার ৮৬.১৫ শতাংশ, যা গতবারের (৮৬.৬০ শতাংশ) তুলনায় ০.৪৫ শতাংশ কম। মোট ৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯০৯ জন উত্তীর্ণ পড়ুয়ার মধ্যে ছাত্র ২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯৭ জন। ছাত্রীদের সংখ্যা ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮১২। তবে সার্বিক পাশের হারে ছাত্ররা (৮৯.৭৬ শতাংশ) অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীদের (৮৩.০৫ শতাংশ) তুলনায়। এ বছর ৬০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে ১৩.৬৭ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। গত বছরের তুলনায় যা সামান্য কম। এবারই প্রথম মাধ্যমিকের মার্কশিট কিউআর কোড দিয়ে সুরক্ষিত করা হয়েছে বলে জানান পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। এর ফলে মার্কশিট জালিয়াতির আশঙ্কা কমবে বলে মনে করছে পর্ষদ।
  • Link to this news (বর্তমান)