মুম্বই (পিটিআই): ফিরে এল ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরের ভয়াবহ স্মৃতি। সেবার প্রধানমন্ত্রীর এক ভাষণে রাতারাতি বাতিল হয়েছিল পুরনো ৫০০, ১০০০-এর নোট। বদলে ‘ত্রাতা’ হিসেবে বাজারে ছাড়া হয় ২০০০ টাকার নোট। প্রায় সাড়ে ৬ বছর পর এবার ‘বাতিলের’ পালা সেই নোটেরও। শুক্রবার সন্ধ্যায় অবশ্য নরেন্দ্র মোদি নন, বিবৃতি দিয়ে এই ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। তবে সচেতনভাবে তারা এড়িয়ে গিয়েছে ‘নোটবাতিল’ শব্দটি। বদলে জানানো হয়েছে, ২০১৮-১৯ নাগাদ ২০০০-এর নোট ছাপা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার আরবিআইয়ের ‘ক্লিন নোট পলিসি’ অনুযায়ী বাজার থেকে তা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে কোনও ব্যাঙ্কে ২০০০ টাকার নোট জমা অথবা বদল করা যাবে। তবে তা একলপ্তে ২০ হাজার টাকার বেশি নয়। ব্যাঙ্কগুলিকেও অবিলম্বে এই বড় নোট ইস্যু করা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে আরবিআই। তবে একইসঙ্গে তাদের দাবি, ২০০০ টাকার নোটের বৈধতা বজায় থাকছে। কিন্তু ১ অক্টোবরের পরেও তা ব্যবহার করা যাবে কি না, সেটা স্পষ্ট করা হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া প্রতিক্রিয়া, ‘তাহলে এটা ২ হাজার টাকার ধামাকা নয়, বরং শত কোটি ভারতীয়কে দেওয়া কয়েকশো কোটির ধোঁকা।’ প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের টুইট, ‘২ হাজার টাকার নোট চালু মূর্খামি, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসেই আমরা একথা বলেছিলাম। সেটাই সঠিক প্রমাণিত হল। এবার ফের ১০০০ টাকার নোট চালু করা হলে অবাক হব না।’