• মন্ত্রী বদলাতেই সম্মতি, শপথ দুই বিচারপতির
    বর্তমান | ২০ মে ২০২৩
  • নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সদ্য আইন মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন অর্জুন মেঘাওয়াল। আর তারপরই কেন্দ্রের সম্মতিতে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্র ও প্রবীণ আইনজীবী কে ভি বিশ্বনাথন। এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান। এই দুই বিচারপতির অন্তর্ভুক্তিতে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হলেও সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতির সংখ্যায় পূর্ণশক্তি ফিরে পাবে। দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষ আদালতের কলেজিয়ামের এই প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে আটকে ছিল। তবে কিরেন রিজিজুর পরিবর্তে অর্জুন মেঘাওয়াল আইনমন্ত্রী হতেই এই প্রস্তাব মঞ্জুর করে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক। 

    ২০৩১ সালের ২৫ মে পর্যন্ত শীর্ষ আদালতে বিচারপতির দায়িত্ব সামলাবেন কে ভি বিশ্বনাথন। তিনি দেশের দশম বিচারপতি, যিনি আইনজীবী থেকে সরাসরি বিচারপতির পদে উন্নীত হলেন। কিন্তু তাঁর আজকের এই পদোন্নতির পিছনে রয়েছে এক দীর্ঘ লড়াইয়ের কাহিনি। সেই কথা জানতে গেলে ফিরে যেতে হবে ৩৫ বছর আগে। যে দিন তিনি তামিলনাড়ু থেকে আইনজীবী হিসেবে দিল্লিতে পা রেখেছিলেন। ১৯৮৮ সালে দক্ষিণ দিল্লির আর কে পুরমের ছোট্ট এক কামরার ভাড়ার ফ্ল্যাট থেকে আইনজীবী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু। ৫৭ বছরের বিশ্বনাথনের জন্ম তামিলনাড়ুর ছোট্ট গ্রাম পোলাচ্চিতে। স্থানীয় আরকিয়া মাথা ম্যাট্রিকুলেশন স্কুল থেকে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু। পরবর্তীকালে সৈনিক স্কুলেও পড়াশোনা করেন তিনি। কোয়েম্বাটুর আইন কলেজ থেকে পাঁচ বছর শিক্ষালাভের পর আইনজীবী হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ। তাঁর বাবা কে ভি ভেঙ্কটরামনও কোয়েম্বাটুরের একজন সরকারি আইনজীবী ছিলেন। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সি এস বৈদ্যনাথের জুনিয়র হিসেবে নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টেও কাজ করেছেন বিশ্বনাথন। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫— এই সময়পর্বে তিনি কে কে বেণুগোপালের জুনিয়র হিসেবেও সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁর কর্মজীবনে বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলার সাক্ষী থেকেছেন এই প্রবীণ আইনজীবী।
  • Link to this news (বর্তমান)