• দমদম কিশোর ভারতী হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিকে নবম ও দশম স্যার-ম্যাডাম নয়, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দাদা-দিদি বলে ডাকে স্কুলের পড়ুয়ারা
    বর্তমান | ২০ মে ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: এই স্কুলে ছাত্র ও শিক্ষকদের সম্পর্ক  পারিবারিক বাঁধনে বাঁধা। প্রতিটি সম্পর্কে স্নেহের পরশ। এই বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ‘স্যার’ বা ‘ম্যাডাম’ বলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্বোধন করে না। এখানে ছাত্ররা শিক্ষকদের বলে ‘দাদা’। শিক্ষিকাদের ‘দিদি’ বলে ডাকে। কলকাতা সংলগ্ন দমদমে কিশোর ভারতী হাইস্কুল এরকম সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। এর প্রভাব পড়ে পড়াশোনাতেও। এবার মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় রাজ্যের প্রথম দশের মধ্যে কিশোর ভারতীর দুই ছাত্র জায়গা করে নিয়েছে। ৬৮৪ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মধ্যে নবম হয়েছে রুদ্রনীল ঘোষ। ৬৮৩ নম্বর পেয়ে দশম হয়েছে প্রত্যুষ চট্টোপাধ্যায়। এই দুই কৃতী ছাত্রকে নিয়ে গর্বিত স্কুল। আনন্দিত তাদের দাদা-দিদিরা।

    কিশোর ভারতী হাইস্কুল ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। ২০১৭ সালে সুপ্রকাশ পাল নামে স্কুলের এক ছাত্র উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে সপ্তম হয়েছিল। মাধ্যমিকের ফলের দিন, শুক্রবার সকালে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিল রুদ্রনীল ও প্রত্যুষ। রেজাল্ট জানার পর দু’জনে স্কুলে যায়। রুদ্রনীলের বাড়ি দমদমের পিকে গুহ লেনে। বাবা অরুণাভবাবু শেয়ার বাজারে কাজ করেন। মা স্বপ্নাদেবী গৃহবধূ। রুদ্র বলে, ‘বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চাই।’ প্রত্যুষের বাড়ি আরএন গুহ রোডে। বাবা প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায় পেশায় ফিজিওথেরাপিস্ট। মা দোলাদেবী গৃহবধূ। প্রত্যুষ বলে, ‘ফিজিক্স অথবা কেমিস্ট্রি নিয়ে উচ্চশিক্ষা করতে চাই।’

    স্কুলের প্রধান শিক্ষক পিন্টু সরকার বলেন, ‘রুদ্রনীল ও প্রত্যুষকে নিয়ে স্কুলের ৮৫ জন মাধ্যমিকে বসেছিল। স্টার পেয়েছে ৪৩ জন। ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ১১ জন। সব ছাত্র উত্তীর্ণ। এই ফলাফলে আমরা খুব খুশি। আমরা চাই ছাত্ররা এই স্কুলটাকে নিজেদের স্কুলবাড়ির মতো ভাবুক। আমরা তাদের পরিবারের সদস্য হওয়ার চেষ্টা করি। তাই স্যার বা ম্যাডাম নয় দাদা ও দিদি বলে আমাদের ডাকে সবাই। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)