• দেহ ব্যবসায় নাবালিকা, হোটেল মালিক সহ পাঁচ কর্মীর ১০ বছর কারাদণ্ড
    বর্তমান | ২০ মে ২০২৩
  • সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: শ্যামপুরের গাদিয়াড়ার একটি হোটেলে চলছিল দেহ ব্যবসা। এমনকী তাতে যুক্ত করা হয়েছিল নাবালিকাদেরও। এই অপরাধে হোটেল মালিক গোবিন্দ দাস, ম্যানেজার দিলীপ দাস এবং সেখানকার তিন কর্মী বিমান মাইতি, সুদর্শন মণ্ডল ও রিন্টু দত্তকে দশ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। তদন্তে এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি। বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্ত করার পর শুক্রবার তাদের সাজা ঘোষণা করলেন উলুবেড়িয়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ওয়ান) স্পেশাল কোর্ট সন্দীপ চৌধুরী। এদিন বিচারক গোবিন্দ দাস, দিলীপ দাস, বিমান মাইতি এবং সুর্দশন মণ্ডলকে ৪১৭ পকসো আইন, ৩৬৬(এ), ৩৭২, ৩৭৩ এবং ৪/৬ আইটিপি আইনে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৪০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি রিন্টু দত্তকে ৩৭২ এবং ৩৭৩ ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন।

    সরকারপক্ষের আইনজীবী অনুপ্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২০১৭ সালের ২০ জুলাই গোপন সূত্রে দেহ ব্যবসার অভিযোগ পেয়ে গাদিয়াড়ার একটি হোটেলে হানা দেন সিআইডির আধিকারিকরা। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে এক নাবালিকা সহ চারজন মহিলাকে উদ্ধার করে সিআইডি। পরে হোটেলের মালিক সহ পাঁচজন এবং তিনজন বোর্ডারকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। বিচার চলাকালীন তিনজন বোর্ডার জামিন পেয়ে যান। তবে বাকি পাঁচজন জেল হেফাজতেই ছিল। তারা একাধিকবার হাইকোর্ট এবং একবার সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করলেও সেই আবেদন নাকচ হয়ে যায়।
  • Link to this news (বর্তমান)