নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আবহাওয়াবিদরা বলছেন, যে এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হয় সেখানে গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি মেলে। কিন্তু আবহাওয়া পরিষ্কার হওয়ার পর চড়া রোদ উঠলেই ফিরে আসে প্রচণ্ড গরমের অস্বস্তি। শুক্রবার শহরে গিয়েছে সেই পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবারের ঝড়-বৃষ্টির জেরে শুক্রবার ভোরে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম ছিল। কিন্তু দুপুরে চড়া রোদে শুক্রবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.১ ডিগ্রিতে পৌঁছয়। যেখানে বৃহস্পতিবার দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (৩৩.৩ ডিগ্রি) স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম ছিল। এই সময়ে ৩৬ ডিগ্রি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলেও তা অস্বস্তিকর গরমের পক্ষে যথেষ্ট বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। কারণ এখন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ খুব বেশি। এদিন কলকাতায় সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতা আগের দিনের তুলনায় ১১ শতাংশ বেড়ে ৬৩ শতাংশ হয়েছে। ভ্যাপসা অস্বস্তিকর গরমের অন্যতম কারণ এটাই। বজ্রগর্ভ মেঘ সৃষ্টি হয়ে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু তার মধ্যে প্রচণ্ড গরমে জেরবার হতে হচ্ছে মানুষকে। কোথাও তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি নেই। তা সত্ত্বেও দুপুরে চড়া রোদের মধ্যে কলকাতার রাস্তায় বেরিয়ে অসুস্থ বোধ করেছেন কেউ কেউ।
আবহাওয়াবিদরাও বলছেন, কলকাতায় আবহাওয়া খুবই অস্বস্তিকর ছিল বৃহস্পতিবার। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার নিরিখে যে অস্বস্তি সূচক ঠিক হয় তার মাত্রা যথেষ্ট বেশি ছিল। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশ দাস জানান, এই সূচক ৫৫ ছুঁলে গরমজনিত অস্বস্তি বেশি আছে বলে মনে করা হয়। তা শুক্রবার দুপুরে ছিল ৬৫.৮। বৃহস্পতিবার দুপুরে সূচক ছিল ৫৮। তবে ওইদিন বিকেলে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার পর গরমের অস্বস্তি কমে। শুক্রবার বিকেলের পর কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার কোনও কোনও জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় সাময়িক স্বস্তি আসে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দু’দিন ঝড়-বৃষ্টির মাত্রা কিছুটা কমবে দক্ষিণবঙ্গে। তারপর তা ফের বাড়বে।